পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং রমজানের শেষ শুক্রবারে জুমাতুল বিদার নামাজের আগে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মিরাট পুলিশ রাস্তায় নামাজ পড়া মুসল্লিদের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। পুলিশ বলছে, যদি কেউ রাস্তায় ঈদের নামাজ পড়ে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যার ফলে তাদের পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।
মিরাটের পুলিশ সুপার (শহর) আয়ুশ বিক্রম সিং জানিয়েছেন, ঈদের নামাজ স্থানীয় মসজিদ বা নির্ধারিত ঈদগাহে পড়া উচিত। রাস্তায় নামাজ পড়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, যদি কেউ এই নির্দেশনা লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাদের পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি) নেতা জয়ন্ত সিং চৌধুরী বলেছেন, ‘যদি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়, তাহলে তাদের পাসপোর্ট এবং লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে। এমনকি আদালত থেকে কোনো অনাপত্তি সনদ (এনওসি) ছাড়া নতুন পাসপোর্ট পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।’
মিরাটের সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) বিপিন তাদা জানিয়েছেন, তাদের প্রশাসন বিভিন্ন স্তরে বৈঠক করেছে এবং এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে বা অস্থিরতা উস্কে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই সিদ্ধান্তে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশে, বিশেষ করে ঈদের আগে শান্তি বজায় রাখার জন্য মিরাটের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে প্রভিন্সিয়াল আর্ম কনস্টাব্যুলারি (পিএসি) এবং ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র্যাফ) মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়েই ঈদ উপলক্ষে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্যটির রাজধানী লখনৌতে ১ হাজার পুলিশ সদস্য এবং ৯ কোম্পানি পিএসি মোতায়েন করা হয়েছে।
