মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। এতে দেশটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে।
দেশটির গণমাধ্যম দ্য ইরাবতী বলছে, ভূমিকম্পের আঘাতে ব্রিটিশদের দ্বারা নির্মিত ৯১ বছরের পুরোনো একটি সেতু লন্ডভন্ড হয়েছে।
ওই সেতুটির নাম আভা সেতু। এটি পুরাতন সাগাইং সেতু নামেও পরিচিত। সেতুটি মান্দালয় এবং সাগাইং অঞ্চলকে সংযোগ স্থাপন করে আসছিল।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সেতুটির প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, সেতুটির কোন কোন পিলার স্প্যান শূন্য দাঁড়িয়ে আছে। কোন কোন পিলারে স্প্যান সামান্য আটকে বাকী অংশ পানিতে তলীয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরের দিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সময় সেতুটি ধসে পড়ে। এই ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা তাৎক্ষনিক দিতে পারেনি ইরাবতী।
তবে গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন বলছে, ভূমিকম্পে মান্দালয়, নেইপিদো ও অন্যান্য এলাকায় বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে।
ভূমিকম্পের কারণে মিয়ানমার ছাড়াও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কম্পনের তীব্রতায় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ে। ওই ভবন ধসে পড়ার ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে থাইল্যান্ড ছাড়াও প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ, ভারত, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং চীনে।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল সাত দশমিক তিন।
একে ‘মেজর ক্যাটাগরির ভূমিকম্প’ হিসেবে ধরা হচ্ছে। যা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, সাত দশমিক সাত মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০ কিলোমিটার গভীরে।