ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫

ভূমিকম্পের সময় ছাদের সুইমিংপুলে ভয়ংকর দৃশ্য (ভিডিও)

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
ছবি ভিডিও থেকে

শক্তিশালী ভূমিকম্পে মিয়ানমারে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ধসে গেছে নির্মাণাধীন ভবন, সেতুসহ লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বাড়িঘর। দেশটিতে ভূমিকম্পের সময়ের কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর মধ্যে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, উঁচু ভবনের রুফটপের সুইমিংপুলে গা এলিয়েছিলেন দুই জন। উপরে ছিলেন আরেকজন।

এমন সময় শুরু হয় ভূমিকম্প। দুলতে থাকে ভবনটি। পুলের পানিও এদিক-সেদিক দুলছিল। পুলের দেওয়াল ডিঙিয়ে ভবন থেকে পড়ে যাচ্ছে। আচমকা পানির নড়াচড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সুইমিং করা তিনজন। হুড়মুড়িয়ে উপড়ে উঠেন আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন তারা। ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে নেটিজেনরা সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন যে, পানির দুলনিতে তারাও ভবন থেকে ছিঁটকে পড়ে যাননি।

মিয়ানমারে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের বিধ্বংসী শক্তি ছিল ৩৩৪টি পরমাণু বোমার সমান কলে সিএনএনকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ববিদ জেস ফনিক্স। আগামী আরও অন্তত দু’মাস মিয়ানমার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকবে বলে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন তিনি।

এই ভূতত্ববিদ বলেছেন, ‘ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেট এবং ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের ওপর মিয়ানমারের অবস্থান। এ দুটি প্লেটের স্থানান্তরের কারণেই ভূমিকম্প হয়েছে। এই স্থানান্তর আরও ২ মাস পর্যন্ত চলবে; এ কারণে আগামী দুমাস ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকবে মিয়ানমার।’

শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মান্দালয় থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা এপিসেন্টার। ইউএসজিএস জানিয়েছে,  মিয়ানমারে ৭.৭ এবং ৬.৪ মাত্রার দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন ধ্বংস্তূপ থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২ হাজার ৩৭৬ জনকে। এছাড়া ৩০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

ব্যাপক এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও। এই ৭ দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে থাইল্যান্ডের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়ায় এখনও নিখোঁজ আছেন শতাধিক মানুষ। এছাড়া দেশটিতে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনের দেহ। এরা সবাই ভূমিকম্পে ভবন ধসে মারা গেছেন।