ঢাকা বুধবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৫

যুদ্ধবিরতি নিয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, রাশিয়াকে শুল্ক আরোপের হুমকি

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে। এই দীর্ঘ সংঘাত বন্ধ করতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সক্রিয় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এর ফলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর ‘খুবই রাগান্বিত’ ও ‘বিরক্ত’ হয়েছেন ট্রাম্প, যা তিনি নিজেই প্রকাশ করেছেন।  

ট্রাম্পের কড়া বার্তা: যুদ্ধবিরতি না হলে রাশিয়ান তেলের ওপর ৫০ ভাগ শুল্ক

সোমবার (৩১ মার্চ) বিবিসি-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ট্রাম্প ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে তিনি পুতিনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, পুতিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্ব নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন, যা তাকে চরম বিরক্ত করেছে।

ট্রাম্প সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়, তাহলে রাশিয়ান তেল আমদানিকারকদের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপ করা হবে। তিনি আরও বলেন, “যদি রাশিয়া এবং আমি ইউক্রেনে রক্তপাত বন্ধ করতে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারি, এবং যদি আমি মনে করি এটি রাশিয়ার দোষ- যা নাও হতে পারে... তাহলে আমি রাশিয়া থেকে আমদানি করা সমস্ত তেলের ওপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করব।”

ট্রাম্পের অবস্থান বদলাচ্ছে?

এ পর্যন্ত ট্রাম্পকে পুতিনের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হলেও, তার সাম্প্রতিক মন্তব্যে ভিন্ন সুর লক্ষ করা যাচ্ছে। ইউরোপীয় নেতারা বরাবরই সন্দেহ করছিলেন যে, ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি আলোচনার নামে পুতিনের পক্ষে কাজ করছেন। তবে এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি রাশিয়াকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলো, যা কূটনৈতিক চাপ বাড়াবে মস্কোর ওপর।

গত ছয় সপ্তাহে ওভাল অফিসে জেলেনস্কিকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প, এমনকি ইউক্রেনে নির্বাচনের দাবিও তুলেছেন। কিন্তু এবার তিনি পুতিনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন।

“পুতিনের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক, কিন্তু...”

ট্রাম্প আরও বলেন, পুতিন তার রাগের ব্যাপারে অবগত, তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যদি ‘সঠিক কাজ’ করেন, তাহলে তার এই রাগ দ্রুত কেটে যাবে। ট্রাম্প বলেন, “আমি খুবই রাগান্বিত হয়েছিলাম যখন পুতিন জেলেনস্কির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন, কারণ এটি সঠিক জায়গায় যাচ্ছিল না। নতুন নেতৃত্ব মানেই দীর্ঘমেয়াদি কোনো চুক্তি সম্ভব নয়।”

এই মন্তব্য স্পষ্ট করছে যে, ট্রাম্প এখন পুতিনের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন, যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কূটনৈতিক সমীকরণ বদলে দিতে পারে।