পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, উচ্চ মাত্রার বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে তেহরান এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। তাদের দাবি, পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ এবং বেসামরিক শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো মনে করে, ইরানের ৬০% পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ক্ষমতা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। যদিও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ৯০% বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন, তবে বিশ্লেষকদের মতে, ইরান এই সীমার কাছাকাছি চলে এসেছে।
ইরানের অবস্থান স্পষ্ট, তাদের পরমাণু প্রকল্প মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদন, চিকিৎসা ও গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য। দেশটি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি (জেসিপিওএ) অনুযায়ী, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সীমাবদ্ধতা মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর, ইরানও ধাপে ধাপে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন শুরু করে।
বর্তমানে, পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আরও কড়া নজরদারি এবং কূটনৈতিক চাপের মাধ্যমে দেশটিকে সংযত করার চেষ্টা করছে। তবে ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের প্রযুক্তি এবং কর্মসূচির উপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ মেনে নেওয়া হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :