মাইক্রোসফট-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বিল গেটস তার সন্তানদের সম্পত্তির ১ শতাংশের কম দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
তার বিশ্বাস, সন্তানদের উত্তরাধিকার হিসেবে বিশাল সম্পদ পাওয়ার চেয়ে নিজের প্রচেষ্টায় সফলতা অর্জন করা উচিৎ।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্স অনুযায়ী, বিল গেটসের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬২ বিলিয়ন ডলার। যার ১ শতাংশ হলো, ১.৬২ বিলিয়ন ডলার।
ফলস্বরূপ, ‘বিল গেটসের ৩ সন্তান তাদের বাবার মতো সম্পদশালী না হলেও, তাদের সম্পদ এখনও তাদেরকে বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীর মাঝে স্থান করে দেবে।’
বৈশ্বিক রিয়েল এস্টেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নাইট ফ্র্যাঙ্ক গেটস-এর সন্তানদের ৫.৮ মিলিয়ন ডলার বা তার বেশি সম্পদের অধিকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বিল গেটস বলেন, ‘আমার সন্তানরা দারুণ একটি বেড়ে ওঠার পরিবেশ এবং শিক্ষা পেয়েছে। কিন্তু তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ শতাংশেরও কম, কারণ আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এটি তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাদের মাইক্রোসফট চালাতে বলছি না। আমি তাদের নিজেদের উপার্জন করার এবং সাফল্য অর্জনের সুযোগ দিতে চাই।’
গেটস পূর্বে ডেইলি মেইলে বলেছিলেন, তিনি তার সন্তানদের ১০ মিলিয়ন ডলার করে দেবেন। তিনি আরও বলেছিলেন, তাদের বেশি সম্পদ দেওয়াটা তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে না।
তবে, তখন থেকে তার ইচ্ছার পরিবর্তন হয়েছে কি না এবং তিনি সন্তানদের ১ শতাংশ সম্পদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
বিলিয়নিয়ার বিল গেটস একমাত্র প্রযুক্তি উদ্যোক্তা নন যিনি তার বিশাল সম্পদ তার সন্তানদের কাছে না দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। প্রযুক্তি জগতের প্রভাবশালী পরিবারের মধ্যে এই প্রবণতা খুব সাধারণ।
অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস এবং আমাজনের জেফ বেজোস তাদের সন্তানদের জন্য সম্পদ না রেখে, দানশীলতা কেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
প্রয়াত অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেছিলেন, তিনি তার স্বামীর কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া বিলিয়ন ডলার তার তিন সন্তানকে দেবেন না।
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসও একইভাবে বলেছেন, তিনি তার বিশাল সম্পদের বেশিরভাগই দান করবেন।