বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তার প্রধান দায়িত্ব আর এককভাবে যুক্তরাষ্ট্র বহন করবে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বিশ্বের সরকার নই যে মানবিক সহায়তা দেব; অন্যরা যেমন দেয়, তেমনই দেব, তবে আমাদের অন্য প্রয়োজনও রয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে হবে।’
রুবিও আরও জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্র আর আগের মতো বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের ভার একা বহন করতে পারবে না।’
তিনি মনে করেন, চীন, ভারত এবং অন্যান্য ধনী দেশগুলোকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। তার এই মন্তব্য বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তার তীব্র চাহিদার মধ্যে আসে, বিশেষ করে ভূমিকম্পবিধ্বস্ত মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে তার ওপর সমালোচনা হয়।
শুক্রবার (৪ মার্চ) এই মন্তব্য করেন রুবিও। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রেক্ষাপটে বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমাদের এই অর্থনৈতিক অবস্থা এবং জাতীয় প্রয়োজনগুলোর ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। আমরা আর এককভাবে মানবিক সহায়তার বৃহত্তম অংশ প্রদানকারী দেশ হিসেবে কাজ করতে পারব না।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুর দিকে তার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ৯০ দিনের জন্য সব ধরনের বিদেশি সাহায্য স্থগিত ঘোষণা করেন। এর ফলে, ইউএসএআইডি, যা যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাদের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়।
এ ছাড়া, ধনকুবের ইলন মাস্কের নেতৃত্বে ফেডারেল সরকার ছোট করার যে পরিকল্পনা চলছে, তাতে ইউএসএআইডি কার্যক্রম প্রায় ভেঙে পড়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, যদি অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সহায়তা প্রদান না করে, তাহলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানবিক সংকট মোকাবিলা কতটা কঠিন হবে।