ঢাকা সোমবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২৫

ইসরায়েলি বিরোধিতার পরও জাতিসংঘের পদে বহাল, কে এই নারী?

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৫, ০১:৫৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিন বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইতালীয় আইনজীবী ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ, যাকে ইসরায়েলি সরকার অপসারণ করতে চাইলেও তার মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে তিনি পূর্ণ গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করায় তীব্র আক্রমণেরও শিকার হন।

ইসরায়েল, আর্জেন্টিনা এবং হাঙ্গেরি তার মেয়াদ বাড়ানোর বিরোধিতা করলেও বিশ্বের ৪৭টি দেশ এ বিষয়ে সমর্থন জানায়। যার জন্য তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

আলবানিজের পরিচয়

১৯৭৭ সালে ইতালিতে জন্মগ্রহণ করা ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ত্রাণ ও কর্মসংস্থানবিষয়ক দপ্তর আনরোয়াতে কাজ করেছেন। ২০২২ সালে তাকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলে মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অপরাধের প্রতি তার প্রতিবাদী ভূমিকার জন্য তিনি বেশ কয়েকবার আক্রমণের মুখে পড়েছেন। গাজা যুদ্ধ চলাকালে তিনি ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেন এবং গাজার ওপর ইসরায়েলি আক্রমণকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি স্পষ্ট উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রশংসা

ফ্রান্সেস্কা আলবানিজের কাজের জন্য তাকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং ফিলিস্তিনিপন্থি গোষ্ঠী ধন্যবাদ জানিয়েছে। ইরানের বেসরকারি শান্তি ও পরিবেশ কেন্দ্র তাকে ২০২৫ সালের ড. তাগি এবতেকার পুরস্কারের জন্য যোগ্য বলে মনে করে।

ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা

আলবানিজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত বক্তব্য দেন। ২০১৪ সালে তিনি আমেরিকাকে ইহুদি লবির দাস বলে মন্তব্য করেছিলেন এবং গাজার জনগণের ওপর ইসরায়েলি নিপীড়নকে প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া, তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন।

এই মন্তব্যের পর কিছু ইসরায়েলপন্থি গোষ্ঠী তাকে ইহুদিবিরোধী হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে আলবানিজ স্পষ্ট করেন যে, তিনি শুধু ইসরায়েলি শাসন এবং তাদের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং তিনি কখনোই ইহুদি জনগণের বিরুদ্ধে কোনো অপ্রীতিকর মনোভাব পোষণ করেন না।