আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) পক্ষ থেকে ইসরায়েলির রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে। এই ঘটনা ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
আফ্রিকান ইউনিয়ন জানিয়েছে, ইসরায়েলির রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার পর তারা ভবিষ্যতে জোটের কোনো বৈঠক বা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে না।
ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টি এ বিষয়ে জানায়, ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দপ্তরে রুয়ান্ডার টুটসি সম্প্রদায়ের গণহত্যার শিকারদের স্মরণে পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। তবে, অনুষ্ঠানস্থলে তাকে দেখেই আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান ইসরায়েলির বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় অভিযোগ তোলেন এবং তাকে অনুষ্ঠান থেকে চলে যেতে বলেন।
এ ঘটনায় ইসরায়েলির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওরেন মারমোরস্টেইন এক বিবৃতিতে বলেন, এমন ব্যাবহার পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।
তিনি আরো বলেন, রুয়ান্ডার জনগণ এবং ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা উভয়েই ভয়াবহ জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়েছে, এছাড়া আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারা যদি এই মৌলিক সত্যটি না জানেন, তবে তা খুবই দুঃখজনক।
এদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেবে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে আফ্রিকান ইউনিয়নের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গাজায় অভিযান চালানোর পর ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অনেক শিশু ও নারী রয়েছে। এরই মধ্যে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে, তবে নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল না করা পর্যন্ত অভিযান বন্ধ হবে না।
আফ্রিকান ইউনিয়ন থেকে ইসরায়েলির রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের পর, বিশেষত দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্বে আইসিজেতে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক পরিসরে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
