ইসলায়েলের বর্বরতায় ফিলিস্তিনের রাফাহ এখন ধ্বংসস্তূপ। আর সেই রাফায় ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে উড়ছে ভারতের একটি পতাকা।
এমন একটি ভিডিও এখন ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। অনেকেই ভিডিও ফুটেজটি শেয়ার করছেন।
তারা বলছেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলায় সহযোগীতা করছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। যার প্রমাণ ওই পতাকা।
ওই ভিডিও ফ্যাক্টচেক করে দেখা যায়, ওই ভিডিও এই সময়ে নয়। তবে ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়েই।
গত বছরের ৪ জুলাই ওই ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন ফিলিস্তিনের এক সাংবাদিক।
ওই সাংবাদিকের নাম ইউনিস তিরওয়ারি। তিনি তার এক্স একাউন্টে (সাবেক টুইটার) ভিডিওটি প্রকাশ করেছিলেন।
ওই ভিডিওটি পূর্ব রাফাহ’র একটি ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটি থেকে তুলেছিলেন ইউনিস তিরওয়ারি।
তার এক্স পোস্টে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘রাফায় সামরিক ঘাঁটিতে ভারতের পতাকা কেন?’
তবে ভিডিওটির সঠিক অবস্থান স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ডায়লগ পাকিস্তান ওই ভিডিও নিয়ে সে সময় একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছিল। ওই বছরের ১৯ জুলাই ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারতে নিযুক্ত সাবেক ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল কারমন বলেছিলেন যে, ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময় তেল আবিবের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ভারত গাজায় চলমান গণহত্যায় ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদান করতে পারে।’
প্রতিবেদনে এও বলা হয়, ‘সাবেক ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন যে ভারত ইসরায়েলের সমর্থন ভুলে যায়নি এবং এখন ‘প্রতিদান’ দিতে পারে।’
‘ভারতীয়রা সর্বদা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে কারগিল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল তাদের পাশে ছিল... ভারতীয়রা এটি ভুলে যায় না এবং এখন হয়ত প্রতিদান দিচ্ছে’, গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন ড্যানিয়েল কারমন।
‘ভারত গাজায় তাদের যুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য ইসরায়েলকে ৯০০টি ড্রোন এবং আর্টিলারি শেল সরবরাহ করেছে।’ বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মূলত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯২ সালে ভারত ও ইসরায়েল আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। তারপর থেকে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।
২০১৭ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসলায়েল সফর করেছিলেন। যেটি ছিল প্রথম ভারতীয় কোন প্রধানমন্ত্রীর সফর। তাছাড়া ২০১৮ সালে ইসরায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ভারত সফর করেন।
ডায়লগ পাকিস্তান ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করে, ‘২০০ জনেরও বেশি ভারতীয় ইহুদি, যারা বেনি মেনাশে সম্প্রদায়ের সদস্য। তারা গাজায় গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে।’
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ্য করা হয়, ‘ফিলিস্তিনে চলমান যুদ্ধাপরাধের জন্য ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হাজার হাজার হিন্দু জাতীয়তাবাদীকেও নিয়োগ করেছে।’