ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২৫

চীনের ওপর অতিরিক্ত ৫০ ভাগ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৫, ০৮:৫০ এএম
ছবিঃ সংগৃহিত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনকে ৫০ ভাগ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) চীন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ৩৪ ভাগ শুল্ক আরোপ করার পর, ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চীন যদি তাদের শুল্ক প্রত্যাহার না করলে, যুক্তরাষ্ট্র আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে, মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ নতুন একটি তীব্র পর্যায়ে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনের শুল্ক আরোপের পর, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক মোট ৮৪ ভাগ পর্যন্ত পৌঁছেছে। হোয়াইট হাউসের দাবি অনুযায়ী, এই শুল্ক ১০ ভাগ বিশ্বব্যাপী শুল্কের সঙ্গে যুক্ত হবে, যার ফলে চীনের পণ্যগুলোর ওপর শুল্কের মোট পরিমাণ দাঁড়াবে ৯৪ ভাগ।

ওপরদিকে, ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, ‘চীন দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক অপব্যবহার করছে, এবং তাদের মুদ্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। আমি আগেই সতর্ক করেছিলাম যে, যদি কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করে, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আরও বড় ধরনের শুল্ক আরোপ করব।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, ‘যদি চীন ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখের মধ্যে তাদের শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে ৯ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর অতিরিক্ত ৫০ ভাগ শুল্ক আরোপ করবে।’

এ ছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীনকে সঙ্গে করা সকল আলোচনা স্থগিত করারও হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘চীন যদি আমাদের সাথে আলোচনা না করে, তবে আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা অবিলম্বে শুরু করব।’

বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজার এবং তেলের মূল্য গত কয়েক দিন ধরে নিম্নমুখী। ট্রাম্প তার ঘোষণায় বলেন, ‘এটি শুধু পাল্টা শুল্ক- আমরা যা করি, তারা আমাদের সঙ্গে তাই করবে।’

চীন, যাকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার ‘শুল্ক অপব্যবহারকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তাদের ৩৪ ভাগ শুল্ক আরোপ করে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বেইজিং আগেই সতর্ক করেছিল যে, পাল্টা শুল্ক আরোপ করলে তা ‘কষ্টকর বাণিজ্য যুদ্ধ’ সৃষ্টি করতে পারে, যা ‘কোনো পক্ষেরই উপকারে আসবে না।’

অতিরিক্ত প্রভাব:

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বিশেষ করে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের এই উত্তেজনা বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে নতুন একটি সংঘর্ষের সৃষ্টি করতে পারে। এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা অন্যান্য দেশের জন্যও উদ্বেগজনক।