গাজার একটি তরুণী, যিনি শান্তিপূর্ণ জীবনযাত্রার স্বপ্ন দেখতেন, একদিন সেই স্বপ্ন থেকে উদ্ভাসিত হতে চেয়েছিলেন। শান্ত এবং নিরাপদ এক পরিবার গড়ার আশা নিয়ে তিনি গাজার পরিস্থিতির মধ্যে নতুন জীবনধারণ করেছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হওয়া নতুন যুদ্ধ সবকিছু ভেঙে দেয়।
চোখের পলকে যুদ্ধের ১০ মাসের কঠিন সময় পার করে সে, ২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, সেউ তরুণী জন্ম দেয় এক ফুটফুটে ছেলে সন্তানের। কিন্তু গাজার আকাশে সেই দিনও বিরামহীন বোমা বর্ষণ চলছিল। গৃহস্থালির অভ্যন্তরে, যেখানে একদিকে নতুন জীবন আসছিল, অন্যদিকে পুরোনো জীবনের অন্ধকার নেমে আসছিল।
২০২৫ সালের ১৯ মার্চ, গাজার শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা হলে ওই তরুণী, যে কি-না সেইদিন মা হয়েছিলেন, এখন আর জীবিত নেই সাথে তার ১৩ মাস বয়সি পুত্রও।
ওই তরুণীর স্বামী আল হিলাল পুত্রের মৃতদেহ কোলে নিয়ে চোখের জল ফেলে বললেন, ‘আমার স্ত্রী এবং ছেলের জন্ম একই দিনে হয়েছিল, এবং তারা একই দিনে শহীদ হলেন। আমি আমার পরিবারের জন্য একটি সুন্দর জীবন চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন সবকিছু শেষ হয়ে গেল।’
এই শোকাবহ ঘটনা কেবল ব্যক্তিগত দুঃখই নয়, এটি গাজার মানুষের যন্ত্রণা এবং যুদ্ধের নির্মমতা তুলে ধরেছে। বিশ্ব সম্প্রদায়কে এক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে, কীভাবে যুদ্ধের এমন অবস্থা তৈরি হলো? কেন এমন নির্মমতা?
এ ঘটনায় শুধু আল হিলালের পরিবারে নয় বরং গাজার প্রতিটি ঘরে এ শোকের ছায়া পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :