বিশ্বের শক্তিশালী ৫০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ৪৭ তম স্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইউএস নিউজ এই তালিকা প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের মতো ইউরোপীয় দেশকেও পেছনে ফেলেছে।
তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির অবস্থান রয়েছে।
গণমাধ্যমটি বলছে, বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থাকা এবং নিয়মিত সংবাদের শিরোনাম হওয়া ও অর্থনীতিতে জোরালো ভূমিকা রাখার বিষয় বিবেচনা করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। দেশটির অবস্থান ১২তম।
তবে এ তালিকায় পাকিস্তান কিংবা ভুটান, মালদ্বীপের মতো দেশ স্থান পায়নি।
অর্থাৎ ওই দেশগুলো থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ।
ইউএস নিউজ জানিয়েছে, বিশ্বে এমন কিছু দেশ রয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক শিরোনামে উঠে আসে, বৈশ্বিক নীতিনির্ধারকদের আলোচনায় স্থান পায় এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ধারা নির্ধারণ করে।
এ দেশগুলোর পররাষ্ট্রনীতি, সামরিক বাজেট এবং কূটনৈতিক অঙ্গীকারের ওপর নজর রাখে গোটা বিশ্ব। এদের প্রতিশ্রুতি আন্তর্জাতিক মহলে কখনো আস্থা, কখনো ভয়ের জন্ম দেয়। মূলত এই দেশগুলোই বিশ্বমঞ্চে নিজেদের শক্তি ও প্রভাব বলয়ে রেখেছে।
পাওয়ার সাব র্যাংকিং অনুযায়ী, একটি দেশের ‘ক্ষমতা’ নির্ধারণে ৬টি বৈশিষ্ট্য সমানভাবে বিবেচনা করা হয়।
ওই বৈশিষ্ট্যগুলো হলো- বিশ্ব নেতৃত্বে ভূমিকা, অর্থনৈতিক প্রভাব, শক্তিশালী রপ্তানি খাত, রাজনৈতিক প্রভাব, আন্তর্জাতিক জোট ও মিত্রতা এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনী।
এই সূচকের তথ্য অনুযায়ী, যেসব দেশ এই বৈশিষ্ট্যগুলোতে এগিয়ে রয়েছে, তারাই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :