বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৫, ১১:৫৬ পিএম

গাজায় ইসরায়েলের গোপন মিশন ফাঁস!

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৫, ১১:৫৬ পিএম

গাজায় ইসরায়েলের গোপন মিশন ফাঁস!

ছবি : সংগৃহীত

মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিন। অনেক আগেই ‘বাফার জোন’ নামে গাজায় ‘কিলিং জোন’ প্রতিষ্ঠার মিশন শুরু করেছিল ইসরায়েল। আর সে লক্ষ্যে এখনও অভিযান চলছে। এরই মধ্যে উপত্যকার সিংহভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তেল আবিব। গাজা উপত্যকাটি এখন বসবাসের অযোগ্য।

এমন বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে খোদ ইসরায়েলের সাবেক সেনাদের সংগঠন ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সে’র প্রতিবেদনে। হাই কমান্ডের নির্দেশে গাজায় নিষ্ঠুরতার বয়ান দিয়েছেন আইডিএফের সাবেক সেনারা।

‘বাফার জোনে ইসরায়েলি ট্যাংকের ৫০০ মিটারের মধ্যে কাউকে দেখা গেলেই করা হয় গুলি, তা সে নারী বা শিশু যেই হোক। তবে সুনির্দিষ্ট বা চিহ্নিত এলাকা ধরে হয়নি এমন অভিযান, বরং পুরো সীমান্ত এলাকা ডেথ জোনে পরিণত করেছে ইসরায়েলি সেনারা। যেখানে কীটপতঙ্গের মতো হত্যা করা হয় ফিলিস্তিনিদের। গাজার বাফার জোনে ইসরায়েলি সেনাদের আচরণ যেন বর্বরতার সব সীমা লঙ্ঘন করেছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইডিএফ সদস্যদের বয়ানে রোমহর্ষক সব বর্ণনা উঠে এসেছে খোদ ইসরায়েলের সাবেক সেনাদের সংগঠন ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সে’র প্রতিবেদনে।

‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সে’র উপদেষ্টা পরিচালক জোয়েল কারমেল জানান, ‘বাফার জোন তৈরির উদ্দেশ্যই ছিল সেখানে থাকা সবকিছু ধ্বংস করা। এর মধ্যে কৃষিজমি, বহু স্থাপনা ছিল। ওই এলাকায় যে কেউ প্রবেশ করুক, সন্ত্রাসী বিবেচনা করে গুলি করা হতো।’

সেনারা জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন অভিযানের অনেক আগেই হয় এই পরিকল্পনা। গাজায় চলমান যুদ্ধের শুরু থেকে বাফার জোনের পরিধি বেড়েছে কয়েক গুণ। আগ্রাসনের শুরুর দিকেই কয়েক কিলোমিটার এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ফিলিস্তিনিদের, ধ্বংস করা হয় সব আবাসিক স্থাপনা, শিল্প, এমনকি অন্তত ৩৫ শতাংশ কৃষিজমি।

জোয়েল কারমেল আরও বলেন, ‘৭ অক্টোবরের আগেই কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাফার জোন ছিল। কয়েক সপ্তাহ আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে আবার হামলা শুরুর পর এর পরিধি আরও বেড়েছে। আর সেজন্য অনেক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সেনারা জানিয়েছেন, সেখানে হিরোশিমার মতো ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। গাজার মানুষ যাতে কখনো স্বনির্ভর হতে না পারে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

সীমান্তবর্তী এলাকা গাজাকে উত্তর-দক্ষিণে বিভক্তকারী নেতজারিম করিডোরসহ উপত্যাকার প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকা এখন বাফার জোন হিসেবে দাবি করে ইসরায়েল। এরই মধ্যে আবার রাফা সীমান্তে মোরাক করিডোর তৈরির পরিকল্পনাও করছে তারা।

আরবি/এসএমএ

Link copied!