ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার (৭ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন। এটি ছিল মাত্র দুই মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে তাদের দ্বিতীয় বৈঠক। নেতানিয়াহু যাকে হিস্ট্রিয়নিক বলে পরিচিত জানলেও এ বৈঠকে তাকে কিছুটা হতাশা দেখা যায়।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথম কোনো বিদেশি নেতা নেতানিয়াহু সাক্ষাৎ করেছিলেন। সে বৈঠকে ইউরোপসহ অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ নিয়ে দুজনের আলোচনা হয়েছিল।
তবে এবারের বৈঠকে নেতানিয়াহুর প্রতি ট্রাম্পের আচরণ ছিল অনেকটাই পরিবর্তন। অপ্রীতিকর এবং অবজ্ঞার মতো, যা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।
জানা যায়, এ বৈঠকের জন্য নেতানিয়াহু আমেরিকান প্রেসিডেন্টের অনুগ্রহ লাভের কঠোর পরিশ্রম করছিলেন।
হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর পর নেতানিয়াহু জানেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চলেছে। ওভাল অফিসে ট্রাম্প যখন ইরান সম্পর্কে কথা বলছিলেন, তখন নেতানিয়াহু বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন।
গত ফেব্রুয়ারির সফরের সময় নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সরানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তবে এই সফরে ট্রাম্প নেতানিয়াহুর অনুরোধ অগ্রাহ্য করেছেন।
এ ছাড়াও ইসরায়েলের ওপর নতুন আরোপিত ১৭ ভাগ শুল্ক অপসারণের বিষয়ে ট্রাম্প কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। যদিও নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করবেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস