আগামী শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পরোক্ষ আলোচনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি পুনর্বিবেচনা করার আহ্ববান করেছেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু অভিযোগ করেন, ইরানের ‘পারমাণবিক অস্ত্র’ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো সামরিক শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা।
এ বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের চুক্তির মাধ্যমেই কেবল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘উড়িয়ে দেয়া’ বা ‘ধ্বংস’ করে ফেলা যাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কেবল সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকান তত্ত্বাবধানে যদি পারমাণবিক স্থাপনাগুলো উড়িয়ে দেয়া যায়, এবং সব সরঞ্জাম ভেঙে ফেলা যায়, তবে সেটাই হবে সঠিক পদক্ষেপ। যদি তা না হয়, ইরান আলোচনা বন্ধ করে দিতে পারে। তখন বিকল্প ভাবনা হবে সামরিক অভিযান।
এ বিষয়ে নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করার পর, ট্রাম্প তাকে সরাসরি জানিয়ে দেন, ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষ আলোচনায় বসবে।
এই ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, নেতানিয়াহু ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষে ‘খালি হাতে’ ফিরে এসেছেন এবং ‘অপমানিত’ বোধ করেছেন।
তবে এ বিষয়ে নেতানিয়াহু এই সফরকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন এবং বৈঠককে ‘অত্যন্ত উষ্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।