লেবাননের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অস্ত্র সমর্পণ নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে হিজবুল্লাহ। মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েল পুরোপুরিভাবে সেনা প্রত্যাহার ও হামলা বন্ধ করলে আলোচনায় বসতে আপত্তি নেই তাদের ।
লেবাননে গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের সময় পশ্চিমঘেঁষা প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন লেবাননে অস্ত্র ব্যবহারের ওপর রাষ্ট্রের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় হিজবুল্লাহর সঙ্গে খুব শিগগিরই আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির তিনটি রাজনৈতিক সূত্র।
ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় দেড় বছরের সংঘাতে হিজবুল্লাহর বিপুলসংখ্যক সেনা নিহত হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে বহু অস্ত্রাগার।
গত বছর ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ এবং হিজবুল্লাহর সিরীয় মিত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার ভারসাম্য ভেঙে পড়ার পর থেকেই হিজবুল্লাহর অস্ত্র সমর্পণের আলোচনা গতি পেয়েছে।
বর্তমানে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে ইরান সমর্থিত এই গেরিলা গোষ্ঠী। মূলত এ কারণেই তারা আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
তবে, তাদের প্রধান শর্ত—ইসরায়েলকে লেবাননের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে পুরোপুরিভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
এর আগে কখনো অস্ত্র সমর্পণ নিয়ে লেবানিজ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি হিজবুল্লাহ।
এবারই প্রথম এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন গোষ্ঠীটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। তবে, পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেন তাঁরা।
এ নিয়ে হিজবুল্লাহর মিডিয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া পায়নি রয়টার্স। লেবানিজ প্রেসিডেন্টের দপ্তরও এখনই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :