চীনের ওপর আরোপিত বাণিজ্য শুল্ক ১০৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টাপাল্টি শুল্ক জারি করে যুক্তরাষ্ট্রকে চীন অসম্মান করেছে এমন অভিযোগও করেন তিনি।
বুধবার ( ০৯ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গভীর রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই।
ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘বিশ্বের বাজারে চীন (যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি) যে অসম্মান প্রদর্শন করেছে, তার জেরে আমি যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের চীনা পণ্যের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত এখন থেকেই কার্যকর হবে। চীনের বোঝা উচিত যে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশকে অসম্মান করার দিন শেষ হয়ে গেছে।’
চলতি বছর মার্চে প্রথমবার চীনের সব ধরনের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। পরে ২ এপ্রিল এক ঘোষণায় জানান, চীনের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক ৩৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তার পরের দিনই মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বেইজিং। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প এবং ৭ এপ্রিল সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, বেইজিং যদি মঙ্গলবার ৮ এপ্রিলের মধ্যে এই শুল্ক প্রত্যাহার না করে— তাহলে সব ধরনের চীনা পণ্যের ওপর রপ্তানি শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে এবং আজ ৯ এপ্রিল বুধবার থেকে তা কার্যকর হবে।
বেইজিং ট্রাম্পের হুমকিতে সাড়া না দেওয়ায় আজ ৯ এপ্রিল থেকে চীনা পণ্যের ওপর কার্যকর হয়েছে বর্ধিত শুল্ক। এতে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের ওপর মোট আরোপিত শুল্ক পৌঁছায় ১০৪ শতাংশে।
এই পরিস্থিতিতে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ট্রাম্প যদি তার এই ‘অপমানজনক’ শুল্ক নীতি জারি রাখেন, তাহলে চীনও ‘শেষ পর্যন্ত’ লড়াই করবে। তারপর গতকাল ৯ এপ্রিল মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশে উন্নীত করে চীন।
বেইজিংয়ের এ পদক্ষেপের পর গতকাল গভীর রাতে চীনের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক আরেক দফা বাড়ালেন ট্রাম্প।
আপনার মতামত লিখুন :