সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত গাজার শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দারা তাদের জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ও বেদনাদায়ক ক্ষতির কথা স্মরণ করছেন।
বুধবার (৯ এপ্রিল) গাজার এই ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে চালানো ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মালাক ইয়াহিয়া নামের এক বাসিন্দা মিডল ইস্ট আইকে জানান, হামলার সময় তিনি ঘরে বসে বই পড়ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে পুরো বাড়ি কেঁপে ওঠে এবং জানালার কাচ ভেঙে যায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাই আমার দুই ছোট ভাইকে খুঁজতে, যারা বাইরে ছিল। ভয় হচ্ছিল, আরো হামলা হতে পারে।
মালাক বলেন, যুদ্ধ আমাদের জীবনকে অর্থহীন করে দিয়েছে। আমরা আমাদের পরিবার, বন্ধু এবং প্রতিবেশীদের হারাচ্ছি। দিনকে দিন আমরা কেবল বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি, কিন্তু জানি না কখন আবার লক্ষ্যবস্তু হয়ে যাব।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শুজাইয়ার হামলাকে ‘আগুনের বলয়ে পরিণত’ করা হয়েছে। স্থানীয় একটি স্কুলে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছিল দখলদার ইসরায়েল সেখানেও দফায় দফায় মোট দুইবার আক্রমণ চালায়।
হামলার পর, শুজাইয়ার পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা খালি হয়ে গেছে।
গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতির ভেঙে গাজায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১,৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫০,৮০০ ছাড়িয়েছে।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই
আপনার মতামত লিখুন :