ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ওমানে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে এই দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শনিবার এই বৈঠকের কথা জানিয়েছেন।
এর মধ্যেই গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আলোচনায় কোনো চুক্তি না হলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ ‘একেবারে’ সম্ভব।
তবে সামরিক পদক্ষেপের বিকল্প আছে কি না জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, ‘অবশ্যই আছে। যদি সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা সামরিক ব্যবস্থা নেব। ইসরায়েল অবশ্যই এতে নেতৃত্ব দিবে।’
এদিকে ইরান জানিয়েছে, ‘বাইরের হুমকির’ প্রেক্ষিতে তারা জাতিসংঘ পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ-র পরিদর্শকদের বহিষ্কার করতে পারে। খবর আল জাজিরার।
এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘পরিদর্শকদের বহিষ্কার ইরানের কথিত শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী শামখানি এক্স-এ এক বার্তায় বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হুমকি ও আক্রমণের পরিস্থিতি চলতে থাকলে, আইএইএ পরিদর্শকদের বহিষ্কার ও সহযোগিতা বন্ধ করার মতো প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।’
এছাড়া সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে ইরানকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন কৌশল নিতে যাচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার পর এরই মধ্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও তেল নেটওয়ার্কের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।
এর আগে ২০১৫ সালে ইরান ও ছয়টি বিশ্বশক্তি একটি চুক্তিতে পৌঁছায় যার ফলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয় এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে আনেন এবং পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান চুক্তির বাধ্যবাধকতা কমিয়ে আনে এবং পরমাণু কার্যক্রম জোরদার করে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ইরান সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার বিরোধীতা করলেও পরোক্ষ আলোচনার পথ খেলা রেখেছে।