ইয়েমেনে নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যার লক্ষ্য ছিল রাজধানী সানা এবং আশপাশের শহরতলির আবাসিক এলাকা ও কৃষিজমি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ভোরে সানার বানি হুশাইশ জেলায় ছয়টি বিমান হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যদিও তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা শুধু বানি হুশাইশেই সীমাবদ্ধ ছিল না। রাজধানীর জাবাল নুকুম এলাকায় একটি এবং ফাজ আত্তান এলাকায় তিনটি হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া হামদান জেলার হাওরি এলাকায় একটি খামার লক্ষ্য করে দুটি হামলা হয়েছে, যার ফলে ফসল ও কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সানা প্রাদেশিক গভর্নরের কার্যালয় জানিয়েছে, এসব শক্তিশালী বিস্ফোরণের ফলে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে লোহিত সাগরের বন্দর নগরী হুদায়দায় মার্কিন বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত অন্তত ১৫ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন পরে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) হুদায়দাসহ উত্তর ইয়েমেনজুড়ে প্রায় ৫০টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে সানা`আ, `আমরান, ধামার ও ইব্ব প্রদেশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ‘আমরান ও ইব্ব’-এ হামলা টেলিফোন নেটওয়ার্ক ও যোগাযোগ অবকাঠামোর উপর কেন্দ্রীভূত ছিল।
এই সাম্প্রতিক হামলাগুলো গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ইয়েমেনি প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে গাজায় ইসরায়েলের চালানো আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী (YAF) ইসরায়েলি ও মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা আক্রমণ করে আসছে।
ইয়েমেনিদের এ ধরনের প্রতিরোধমূলক অভিযানে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের ইলাত বন্দর কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে, যা দেশটির জন্য উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়েছে। YAF ঘোষণা দিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রতিরোধ চলবে।