তুরস্কের মানবাধিকার ও সমতা সংস্থার সভাপতি মোহাররেম কিলিচ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জানান, গাজায় ইসরায়েল কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ সংগ্রহ করে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দাখিল করা হবে।
এই রিপোর্টে ফিলিস্তিনি সাধারণ নাগরিকদের প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য, হাসপাতাল নথি, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পাওয়া তথ্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু দলিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ফিলিস্তিনি সাক্ষীদের বিবৃতি যুক্ত
আন্তালিয়া ডিপ্লোম্যাসি ফোরাম ২০২৫-এ আনাদোলুকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কিলিচ জানান, এই গণহত্যামূলক ঘটনাগুলোতে তুরস্ক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চায় যাতে তারা নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন অনেক ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সাক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করেছি, যারা আঙ্কারা সিটি হাসপাতাল এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেই সব ভুক্তভোগীর বয়ান আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠিয়েছি।’
ইসলামভীতি ও উগ্র ডানপন্থার উত্থান
তিনি আরও বলেন, ‘এটা শুধু রাজনৈতিক ইস্যু নয়, এটা সামাজিক সংকটও। ইউরোপজুড়ে ইসলামভীতি ও উগ্র-ডানপন্থি চেতনার উত্থান ফিলিস্তিন ইস্যুকে ঘিরে আরও গভীর হয়েছে।’
তার মতে, এই বর্ণবাদমূলক ও বৈষম্যমূলক চর্চাগুলোকে শুধু রাজনৈতিক নয়, মানবাধিকার এবং সমতার দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা করা প্রয়োজন।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অপরাধের নথিপত্র প্রস্তুত
কিলিচ জানান, তারা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও ডকুমেন্ট করছে। তাদের মতে, ‘ইসরায়েল প্রায়ই এই অপরাধগুলো বিচার ছাড়াই করে যাচ্ছে’- একে আন্তর্জাতিকভাবে দৃষ্টান্তমূলকভাবে উপস্থাপন করাই তাদের লক্ষ্য।
তুরস্কের মানবাধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠান (টিআইএইচইকে) ইতোমধ্যে ‘গাজা ও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি সরকারের গণহত্যা’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট ইংরেজি ও আরবি ভাষায় প্রকাশ করেছে, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।