পারমাণবিক সহযোগিতা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে চুক্তি সম্পাদন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্র। জ্বালানি বিনিয়োগ ও বেসামরিক পারমাণবিক প্রযুক্তি বিষয়ে দুই দেশের মাঝে একটি প্রাথমিক চুক্তি সই হবে বলে জানা গেছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইট। খবর রয়টার্সের।
এদিন সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেন রাইট। তিনি বলেন, ‘রিয়াদ ও ওয়াশিংটন একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর কাছাকাছি রয়েছে।’
শক্তি উৎপাদনকারী উপসাগরীয় দেশগুলোর সফরের অংশ হিসাবে এটি তার প্রথম সফর। দুই দেশের মধ্যে এ বছরের শেষের দিকে চুক্তি সম্পর্কিত বিশদ তথ্য আসবে বলে জানান তিনি।
মার্কিন জ্বালানি সচিব আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চায় সৌদি আরবের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি পারমাণবিক শিল্প গড়ে তুলতে। অবশ্যই সৌদি আরবের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি হবে।’
এই সফরে জ্বালানি সহযোগিতা, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ আহরণ ও প্রক্রিয়াকরণ, শিল্প উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্ক প্রসঙ্গে রাইট বলেন, ‘আমি মনে করি, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগকারী শীর্ষ দেশগুলোর একটি হয়ে উঠবে। আর তা হবে উভয় দেশের জন্যই লাভজনক’।
এ সময় সৌদি জ্বালানি খাতের দক্ষতা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি সৌরশক্তি সম্ভাবনা, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সম্ভাবনা ও সুযোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
সৌদি আরব, বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ। ক্রাউন প্রিন্সের ভিশন ২০৩০ সংস্কার পরিকল্পনার অধীনে যথেষ্ট নবায়নযোগ্য শক্তি তৈরি করতে এবং নির্গমন কমাতে চাইছে দেশটি।
আর তাই সৌদি আরব পারমাণবিক শক্তির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে প্রভাবশালী রাষ্ট্র সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
একইসাথে, দেশটি ইরানের সাথেও পরমাণু ইস্যুতে সমঝোতায় আসতে চায় বলে ইতোমধ্যেই গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :