ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর হামলা করেই চলেছে ইসরায়েল। হামলায় বিধ্বস্ত এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে উপত্যকাটি।
তবে সুসংবাদ হচ্ছে, একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে অলৌকিকভাবে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে জীবিত উদ্ধার করা করেছে উদ্ধারকর্মীরা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রোববার (১৩ এপ্রিল) উত্তর জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা করা হয়। ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের বরাত দিয়ে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, রোববার বিকেলে একটি বাড়িতে আঘাত হানা এই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে দুই নারীও রয়েছেন।
সৌভাগ্যক্রমে হামলায় বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে আলা মানুন নামে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী রয়েছেন। তাকে ধসে পড়া কংক্রিটের নিচ থেকে উদ্ধার করেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
ধ্বংসস্তূপ থেকে স্ট্রেচারে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে তিনি বেঁচে আছেন।
কিছুক্ষণ পর তিনি জানতে পারেন, একই হামলায় তার ছোট মেয়ে, স্বামী এবং মাসহ অনেকে নিহত হয়েছেন। ৪ ও ৭ বছর বয়সী আরও দুই মেয়ে আহত হয়েছে। এ খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
জাবালিয়ায় কর্মরত একজন ডাক্তার জানান, মানুনের পায়ের গোড়ালি ভেঙে গেছে, বাকি সব ঠিক আছে বলে মনে হচ্ছে। জাবালিয়ায় কোনো স্ক্যানার মেশিন নেই। কারণ উত্তর গাজার একমাত্র মেশিনটি আল-আহলি হাসপাতালে ছিল।
ইসরায়েলি হামলায় এখন তা কেবলই লোহার টুকরা। তাই মানুনের গর্ভের সন্তানের অবস্থা ডাক্তারের আন্দাজের ওপরই ছেড়ে দিতে হয়েছে।
মানুনের প্রতিবেশী আবদুল্লাহ দারদৌনা বলেন, এখানে কোনো প্রতিরোধ নেই। কাসাম নেই, হামাস নেই, এখানে কেউ নেই। এখানে কেবল রয়েছে বেসামরিক লোকের মরদেহ।
আপনার মতামত লিখুন :