ইরানকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে খুব শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তার উপদেষ্টাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং শিগগিরই কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন তিনি।
সোমবার (১৪ এপ্রিল স্থানীয় সময়) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট এবং আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ওমানে পরোক্ষ আলোচনার পরই ট্রাম্পের ঘোষণা
এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল স্থানীয় সময়) ওমানের রাজধানীতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ওমানের মধ্যস্থতায় একটি পরোক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইরানের প্রথম আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ। আলোচনা শেষে উভয় পক্ষই এটিকে ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ বলে অভিহিত করে।
পরদিন, রোববার (১৩ এপ্রিল) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ান-এ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইরান ইস্যুতে অগ্রসর হচ্ছি। আমি শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেব- এটি খুব দ্রুত আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সাধারণত চূড়ান্ত কিছু না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলি না। তবে আমার বিশ্বাস, আমরা ভালো অগ্রগতি করছি।’
চুক্তি না হলে সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত
ট্রাম্প আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে চুক্তি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার পথ উন্মুক্ত থাকবে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু না বললেও, আলোচনার প্রেক্ষাপটে তার মন্তব্যকে বিশেষজ্ঞরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
আরও এক দফা আলোচনা রোমে
এই সপ্তাহের শনিবার (১৯ এপ্রিল) ইতালির রোমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে দ্বিতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওমানের আলোচনার পর এটিকেই ধরা হচ্ছে সম্ভাব্য সমঝোতার দিকে আরেকটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে।
নতুন অধ্যায়ের সম্ভাবনা
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক এই আলোচনা এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্ক এক নতুন মোড়ে প্রবেশ করতে চলেছে- যা হয়তো একটি কূটনৈতিক চুক্তি কিংবা চূড়ান্ত সংঘাত- যে কোনো একটি দিকে যেতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স