অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করলো দখলদার ইসরায়েল। ইতোমধ্যে তারা মোরাগ ও নেটজারিম করিডোর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এদিকে রাফা শহরের প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। স্যাটেলাইট চিত্র ও মানচিত্র বিশ্লেষণ করে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) এক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে তাদের অভিযান সম্প্রসারণ করেছে।
তারা এখন আনুমানিক ৩০ বর্গকিলোমিটার (১১.৫ বর্গকিলোমিটার) এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। অর্থাৎ শহরের মোট এলাকার ৪৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
সুফা ক্রসিং থেকে সালাহ আল-দিন স্ট্রিট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) দৈর্ঘ্যের একটি রাস্তাও পাকা করার কাজ শুরু করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা মোরাগ করিডোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে, যা রাফাকে গাজার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।
গত শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, মোরাগ করিডোর কার্যকরভাবে রাফাকে একটি ‘ইসরায়েলি নিরাপত্তা অঞ্চলে’ পরিণত করেছে। মোরাগ ও নেটজারিম করিডোর গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। আরও অঞ্চল দখল করা হয়েছে। এবং সম্প্রসারিত করা হবে। ‘আগ্রহী সকলকে’ গাজা ত্যাগ করে অন্যান্য দেশে ‘ইচ্ছাকৃত প্রবেশ’ করার অনুমতি দেওয়া হবে। আর এটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে করা হবে, যা আমরা বাস্তবায়ন চাই।’
গাজাবাসীদের উদ্দেশ্যে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘হামাসকে বিতাড়িত করার এবং যুদ্ধ বন্ধ করে সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার এটিই শেষ সুযোগ। শীঘ্রই গাজার অন্যান্য অঞ্চলে (যেসব এলাকায় এখনো জোরালো হামলা চালানো হয়নি) অভিযান শুরু হবে।’
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বামপন্থী সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাফা ও এর আশেপাশের এলাকাগুলোকে ‘বাফার জোনে’ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :