বিতর্কিত ওয়াকফ আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশিরা সহিংসতা ছড়িয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক তদন্তে এ তথ্য উঠেছে এসেছে। তবে সরকারি এই প্রতিবেদন নিয়ে মুখ খুলেনি কেন্দ্র সরকার।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম।
বিতর্কিত ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ বিক্ষোভ দমন করতে পারেনি বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিতর্কিত ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদের নামে ‘গুন্ডামি’ শুরু হয় মুর্শিদাবাদে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার জেলা। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। অশান্তির মুর্শিদাবাদে হিংসার বলি হন তিনজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার রাত থেকে নেমেছে বিএসএফ।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবার রাত থেকে আধা সেনাও নামানো হয়। লাগাতার বিক্ষোভের জেরে একাধিক গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে বহু পরিবার। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। ঘরহারা পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে পাশের জেলা মালদহের বৈষ্ণবনগরের বিভিন্ন স্কুলে।
মুর্শিদাবাদে এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বহিরাগত শক্তি থাকার দাবি করেছিল তৃণমূল নেতারা। তাদের মতে, বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপি বাংলার সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে চাইছে। তাতে সাহায্য করেছে বিএসএফের একাংশ।
ফারাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাইরে থেকে লোকজন না ঢুকলে এই ধরনের কাণ্ড ঘটত না। বাইরে থেকে লোকজন এই এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব করতে শুরু করেছে। ভেতরের লোকজন তো রয়েছেই। এতদিন এখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি।’
তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিএসএফের একাংশের সাহায্য নিয়ে বহিরাগত দুষ্কৃতীকারীদের ঢুকিয়ে অশান্তি ছড়িয়ে আবার তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকার লোকজন বলছে, অশান্তির মূল পাণ্ডাদের তারা চেনেন না। ফলে কোনও রাজনৈতিক দল কোনও কোনও এজেন্সির সাহায্য়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।’