ঢাকা বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট কারাগারে, দূতাবাসে আশ্রয় প্রার্থনা ফার্স্ট লেডির

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ০৯:১২ এএম
পেরুর সাবেক রাষ্ট্রপতি হুমালা (বামে) ও সাবেক ফার্স্ট লেডি নাদিন হেরেদিয়া (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

পেরুর সাবেক ফার্স্ট লেডি নাদিন হেরেদিয়া মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) লিমায় অবস্থিত ব্রাজিলীয় দূতাবাসে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। ঠিক একই দিনে তিনি ও তার স্বামী, পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্তা হুমালা, অর্থপাচারের অভিযোগে ১৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি অনুযায়ী, হেরেদিয়া মঙ্গলবার সকালে ব্রাজিলীয় দূতাবাসে পৌঁছেছেন। তবে তিনি দণ্ড ঘোষণার আগে দূতাবাসে প্রবেশ করেছিলেন নাকি পরে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

এই মামলাটি ২০০৬ ও ২০১১ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় হুমালার নির্বাচনি প্রচারাভিযানের জন্য অবৈধ অর্থ গ্রহণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে।  

প্রসিকিউটরদের দাবি, হুমালার নেতৃত্বাধীন ‘ন্যাশনালিস্ট পার্টি’ ভেনেজুয়েলার তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে এবং দুর্নীতিতে জড়িত ব্রাজিলের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ওডেব্রেখট থেকে অবৈধ অনুদান পেয়েছিল।

হুমালা ও হেরেদিয়া বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন।

তিন বছর ধরে চলা এই মামলার রায় মঙ্গলবার ঘোষিত হয়। রায়ের সময় হুমালা আদালতে উপস্থিত থাকলেও হেরেদিয়া উপস্থিত ছিলেন না।

রায় ঘোষণার পরপরই আদালত হুমালাকে অবিলম্বে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তার আইনজীবী উইলফ্রেদো পেদ্রাজা এই সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বিচারকগণ বলেছেন, অপরাধের অবৈধতা বিচার প্রক্রিয়ার সময় প্রমাণিত হতে পারে- এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। মৌখিক বিচার ও চূড়ান্ত রায়ের ক্ষেত্রে অনুমানের নয়, বরং সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।’

প্রসিকিউশন হুমালার জন্য ২০ বছর এবং হেরেদিয়ার জন্য ২৬ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছিল।

উল্লেখ্য, ওডেব্রেখট কেলেঙ্কারিটি ল্যাটিন আমেরিকার অন্যতম বৃহৎ দুর্নীতি কেলেঙ্কারি, যেখানে বহু দেশের রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ গ্রহণের ঘটনা সামনে এসেছে।

নাদিন হেরেদিয়ার ব্রাজিলীয় দূতাবাসে আশ্রয় প্রার্থনার ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও নতুন টানাপোড়েন সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।