যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ চীনের ওপর কিছুদিন পরপরই নতুন শুল্ক ঘোষণা করছে ওয়াশিংটন।
চীনের ওপর শুল্কের হার আরও বাড়িয়ে অনেকটা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, চীনা পণ্যে এখন মার্কিন শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪৫ শতাংশে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় হোয়াইট হাউস। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
সর্বশেষ প্রশাসনিক আদেশে হোয়াইট হাউস উল্লেখ করেছে, গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ আমদানিতে একটি জাতীয় নিরাপত্তা তদন্ত শুরু করেছে তারা। সেই আদেশে ২ এপ্রিল ঘোষিত পারস্পরিক শুল্কের ব্যাখ্যাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চীন এখন তার প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিতে ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের সম্মুখীন হয়েছে।
ট্রাম্পের এই শুল্কারোপ প্রথমে অনেক দেশের ওপর কার্যকর ছিল। কিন্তু দেশগুলোর অনুরোধে শুল্কারোপ পরে প্রত্যাহার করে মার্কিন প্রশাসন।
এর মধ্যে আলোচনা না করেই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে চীন। ফলে দেশটির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার না করে বরং বাড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
এরপর থেকেই বিশ্বের ২ অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের মাধ্যমে তীব্র বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস বলছে, ‘নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় করার জন্য ৭৫টির বেশি দেশের ওপর থেকে ইতোমধ্যেই নতুন শুল্কারোপ তুলে নেওয়া হয়েছে।
যদিও চীন কী পরিমাণ শুল্কহারের মুখোমুখি হয়েছে, বিবৃতিতে তা স্পষ্ট করেনি হোয়াইট হাউস।
উল্লেখ্য, চীন গত শুক্রবার মার্কিন পণ্যের আমদানির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসলো।
এটি মূলত ট্রাম্পের একটি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। ।