ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা যেন গণকবরে পরিণত হয়েছে। এমনটাই বলেছে ফরাসি এনজিও মানবিক দাতব্য সংস্থা এমএসএফ। ফিলিস্তিনে চলমান হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। লাখ লাখ নারী-শিশু প্রাণ হারাচ্ছেন, আহতও হচ্ছেন অনেকে।
স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে এখন শুধু বেসামরিকই নয়, ইসরায়েলি সেনারা স্বেচ্ছাসেবকদেরও হত্যা করছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, নারী-শিশুর সঙ্গে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও চিকিৎসাকর্মীরাও ইসরায়েলের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হচ্ছেন।
মানবিক চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া এমএসএফ জানায়, সাহায্যকারী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নির্বিচারে হত্যা করার কারণে গাজা এখন স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য ‘গণকবরে’ পরিণত হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর পর থেকে ফিলিস্তিনে মৃত্যুলীলায় মেতে উঠেছে দখলদার ইসরায়েল। হামলার পর থেকে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও চুক্তি ভঙ্গ করে মার্চে আবারও বর্বর হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গের আগেই ২ মার্চ থেকে গাজায় বিভিন্ন সংস্থার মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়।
গত মাসে ইসরায়েলি বাহিনী অ্যাম্বুলেন্সে গুলি করে ১৫ জন প্যারামেডিককে হত্যা করে।
ফিলিস্তিনের চিকিৎসকরা জানান, বুধবার (১৬ এপ্রিল) ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিখ্যাত লেখিকা ও আলোকচিত্রী ফাতেমা হাসৌনাসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :