অবরুদ্ধ গাজায় হামলা জোরদার করতে ইসরায়েলকে তিন হাজার শক্তিশালী বোমা দিতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া তেল আবিবকে অল্প দিনের মধ্যেই ওয়াশিংটন ১০ হাজারের বেশি বোমা সরবরাহ করবে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম প্রেস টিভি।
ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজা এখন প্রায় নিশ্চিহ্নের পথে। দক্ষিণের শহর রাফাহ ঘিরে ফেলা হয়েছে চারদিক থেকে। ইসরায়েলি বাহিনী দখলে নিয়েছে রাফাহ ও খান ইউনুসের সংযোগপথ মোরাগ করিডরও। পাশাপাশি অভিযান চলছে মিশর সীমান্তঘেঁষা ফিলাডেলফি করিডরে।
এর মধ্যেই গাজায় হামলা আরও জোরদারের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইরানি গণমাধ্যম প্রেস টিভির খবরে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে অভিযানের জন্য মজুত করা হচ্ছে অস্ত্র। আর এতে মদদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, তেল আবিবকে তিন হাজারের বেশি শক্তিশালী বোমা সরবরাহ করতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। শুধু বোমাই নয়, আরও ৭৪০ কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রসহ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে ইরানি গণমাধ্যমটি আরও জানায়, অল্প কিছুদিনের মধ্যে ১০ হাজারের বেশি বোমার চালান ইসরায়েলে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এগুলো এমকে-৮৪ সিরিজের বোমা। এ ছাড়াও থাকছে প্রায় দুই হাজার পাউন্ডের গোলাবারুদ।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও একই ধরনের অস্ত্র তেল আবিবে সরবরাহ করেছে, যা নির্বিচারে ব্যবহৃত হচ্ছে গাজাবাসীর ওপর।
চলতি বছর মার্চের মাঝামাঝি থেকে নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১ হাজার ৬৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত চার হাজারের বেশি। ধ্বংস হয়েছে হাসপাতাল, স্কুল, খাদ্য গুদাম। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে এরই মধ্যে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে। মোতায়েন হয়েছে ৩৬তম ডিভিশন, পদাতিক বাহিনী এবং ১৮৮তম ট্যাংক ব্রিগেড।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার মধ্য দিয়ে সরাসরি গণহত্যায় অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।