গাজা সীমান্তের ইহুদি জনবসতির ওপর বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গতকাল মঙ্গলবার ইতজাক বসতিতে ‘ভুলবশত’ একটি বোমা পড়ে যায়। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ ঘটনায় অবশ্য আইডিএফের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তাদের যুক্তি, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই গাজা সীমান্তের দুই কিলোমিটার দূরে ইতাজাকের কাছে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের ওপর যুদ্ধবিমান থেকে কয়েকটি বোমা পড়ে গেছে! ঘটনাচক্রে, নেতানিয়াহুর গাজা সফরের দিনেই ঘটেছে এই বিপত্তি।
স্থানীয় বাসিন্দারা ইসরায়েলি পত্রিকা ইয়েদিওথ আহরোনোথকে জানিয়েছেন, তারা অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেননি। কারণ তারা গাজায় সামরিক কার্যকলাপ থেকে ঘন ঘন বিস্ফোরণ শুনে অভ্যস্ত। তারা একটি বিস্ফোরণ শুনেছিলেন, তবে এতে কোনো সন্দেহ জাগেনি।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। হামাসের ওপর চাপ বাড়াতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তবে সেই সঙ্গেই গাজায় মোতায়েন করা সেনার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের বার্তা দিয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পরেই গাজায় হানা দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। প্রথমে বন্দুকের নলের সামনে রেখে উত্তর গাজা ফাঁকা করানো হয়। এরপরে স্থল অভিযানে মধ্য ভূখণ্ডও গ্রাস করে তারা। ঘরবাড়ি ও হাসপাতাল ধুলিসাৎ করে দেয়।
টানা হামলা চলছে দক্ষিণ গাজা ও খান ইউনুসে। এবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নিশানা গাজা ভূখণ্ডের একেবারে দক্ষিণ প্রান্ত রাফা। এরই মধ্যে সেখান থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেখানে সেনা অভিযান শুরু হলে বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।