মিয়ানমারে চার দিনব্যাপী বর্ষবরণের ‘থিংইয়ান’ চলাকালেই জান্তা বাহিনী বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে অন্তত ২৬টি বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ২৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতসহ ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
বিষয়টি বার্মিজ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাবতী’ নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিমান হামলা অন্তত ছয়টি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ‘মঠ’লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ১৩ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত হামলায় ১৫টি অঞ্চলে একাধিকবার আঘাত আনা হয়। এ সময় কারেন রাজ্যের কান্নি গ্রামে YAK-30 যুদ্ধবিমান এক মঠে হামলা চালালে চার শিশু ও দুই প্রাপ্তবয়স্ক নিহত হন এবং ১৭ জন আহত হন।
ওই প্রতিবেদন বলছে, পরদিন থায়েট তাও গ্রামে বোমাবর্ষণে একজন নিহত দুই শিশু আহত হয়। গতকাল বুধবার একই শহরের ‘মায়াউক কানমা ইয়েতে গ্রামে’ একটি Y12 বিমান হামলায় প্রাণ হারান এক গর্ভবতী নারী ও দুই শিশুসহ চারজন।
প্রতিবেদনে আরও বলছে, ‘সাগাইং অঞ্চলের কানি টাউনশিপে’ জান্তা বাহিনী ড্রোন, প্যারামোটর এবং Y12 যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে সাতটি গ্রামে হামলা চালায়। পাশাপাশি ‘থামিন চান’ গ্রামের মঠে হামলায় চারজন নিহত হন।
গত মাসের ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের পর বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার (NUG) এবং কিছু প্রভাবশালী জাতি সশস্ত্র গোষ্ঠী একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। যেন উদ্ধার কাজ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিরাপদে সম্পন্ন করা যায়।
এদেকে জান্তাও বাহিনী গত ২ এপ্রিল থেকে ২০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি ভেঙে তারা দেশজুড়ে বিমান ও কামান হামলা অব্যাহত রাখে।
NUG-এর মানবাধিকার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫টি অঞ্চল ও রাজ্যের ১২টিতে মোট ৯২টি গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালানো হয়েছে। যার ফলে৭২ জন নিহত ও ৯১ জন আহত হয়েছেন।