শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ১১:৫৩ এএম

ফিলিস্তিনকে নিয়ে বদলে যাচ্ছে বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ১১:৫৩ এএম

ফিলিস্তিনকে নিয়ে বদলে যাচ্ছে বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি

আন্তর্জাতিক মহলে পরিবর্তন হচ্ছে ফিলিস্তিনের অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিশ্বে অনেকটাই গতি পেয়েছে এ বছর। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশের বেশি (১৪৭টি দেশ) এখন ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে এসে দেখা যাচ্ছে, এই পরিবর্তনটা শুধু সংখ্যা নয়, বরং বৈশ্বিক রাজনীতির বড় এক বাঁক। বিশেষ করে ইউরোপের কিছু দেশ যেমন আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নরওয়ে ও স্লোভেনিয়া ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে এক ধরনের নতুন বার্তা দিয়েছে যে সময় বদলাচ্ছে।

ফ্রান্সের বড় ঘোষণা 

২০২৫ সালের জুনে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, তার দেশও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। এই ঘোষণা এসেছে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রেক্ষাপটে, যা সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করা হবে। এর পেছনে কৌশলটা হলো- একদিকে ফিলিস্তিনকে সমর্থন, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে আরও কিছু দেশকে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে উৎসাহ দেওয়া।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের অবস্থান

যদিও এতগুলো দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে, জাতিসংঘে ফিলিস্তিন এখনও পূর্ণ সদস্য হতে পারেনি। ২০২৪ সালে তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে ‘অসদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মানে তারা জাতিসংঘে অংশ নিতে পারে, বসতে পারে, কথা বলতে পারে- কিন্তু ভোট দিতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হিসেবে, এখনও ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদে ভেটো দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য- এই সিদ্ধান্ত দুই-রাষ্ট্র সমাধানের আলোচনার মাধ্যমেই হওয়া উচিত।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও দ্বন্দ্ব

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কারণে অনেক দেশে কূটনৈতিক চাপ ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে ইসরায়েলের সঙ্গে। যেমন ২০২৪ সালে আয়ারল্যান্ড, স্পেন আর নরওয়ে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ইসরায়েল তাদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে নেয় এবং ফিলিস্তিনের ট্যাক্স রাজস্ব আটকে দেয়।

ইসরায়েলি নেতারা এই স্বীকৃতিগুলিকে সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করা বলেই দেখছে। তবে আরব ও মুসলিম প্রধান অনেক দেশ বলছে- এটা একটি ন্যায্য দাবিকে স্বীকৃতি দেওয়া, দীর্ঘদিনের অবিচার সংশোধনের পথ।

স্বীকৃতির সংখ্যা বাড়লেও ফিলিস্তিন এখনও অনেক বাস্তব জটিলতার মুখে। জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ নেই, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে সব ক্ষমতাও নেই। ২০২৫ সালের জুনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন একটা বড় মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে- যদি সেখানে বাস্তব কোনো অগ্রগতি হয়।

সব মিলিয়ে, বিশ্বে ফিলিস্তিনকে নিয়ে যে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছে, তা শুধু কূটনীতি নয়- মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অনেক কিছু বলছে।

আরবি/এসএস

Link copied!