রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ থামাতে এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। শান্তি ফেরাতে দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে কোনও শান্তি চুক্তি সাক্ষরিত হয়নি। এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল মার্কিন প্রশাসন।
শুধু তা-ই নয়, তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যদি এই চুক্তি নিয়ে কোনও অগ্রগতি দেখতে পাওয়া না যায়, তবে কয়েক দিনের মধ্যেই মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা ত্যাগ করবে ট্রাম্পের সরকার।
শান্তি চুক্তির অগ্রগতি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো অ্যান্তোনিও রুবিও। প্যারিস সফরে ইউরোপীয় ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পরই রুবিও বলেন, ‘আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা কয়েক দিন বা সপ্তাহখানেক দেখব, যদি শান্তি চুক্তিতে কোনও অগ্রগতি না হয়, তবে আর আমরা এর মধ্যে থাকব না। অন্যান্য বিষয়ে মনোযোগ দেব।’
রুবিও আরও জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখনও চান দ্রুত শান্তি চুক্তিতে পৌঁছোতে। তবে এটাও ঠিক, এই নিয়ে আলোচনা যদি স্থগিত থাকে, তবে মার্কিন প্রশাসন আর এই বিষয়ে মনোযোগ দেবে না।
দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, যুদ্ধ অবসান করতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরে তার সময়সীমা সংশোধন করে জানান, এপ্রিল বা মে মাসের সমাধানে আসতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে কোনও শান্তি চুক্তি হয়নি বা এই বিষয়ে আলোচনা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতার উদ্যোগ থেকে সরে আসতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে তিন বছর ধরে। এখনও পর্যন্ত শান্তি স্থাপনের সব রকম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ইতোমধ্যে, উভয় পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছে ওয়াশিংটন। শান্তি রক্ষার জন্য নানা প্রস্তাবও দিয়েছে মার্কিন মুলুক। এই বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একদফা আলোচনা সেরেছেন ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
তবে সম্প্রতি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। সেই হামলায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জ়েলেনস্কি। ট্রাম্পকে ইউক্রেনে এসে রাশিয়ার ধ্বংসলীলা দেখে যাওয়ার অনুরোধ করেন। যদিও ট্রাম্প স্পষ্ট জানান, এই যুদ্ধ শুরু তার পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। তিনি কখনই এর দায় নেবেন না।