শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের ব্যাখ্যা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের ব্যাখ্যা

ছবিঃ রূপালী বাংলাদেশ

চুক্তি অনুযায়ী ভারতের বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহন করতে পারবে। অর্থাৎ, ভারতের বন্দর নিজেদের বাণিজ্যের কাজে ব্যবহার করতে পারবে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছিল।

এদিকে গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে ভারত জানিয়েছিল, নেপাল এবং ভুটান ছাড়া ভারতের বন্দরগুলো বাংলাদেশকে বাণিজ্যের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।

ভারত এমন সিদ্ধান্ত কেন নিল সে প্রশ্ন করা হলে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ভারতের বন্দরগুলোতে যানজট তৈরি হচ্ছে। পণ্য পরিবহণ করতে সময় লেগে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ওই জট কাটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও নেপাল-ভুটানে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। অর্থাৎ, ওই দুই দেশে ভারতের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য করতে পারবে বাংলাদেশ।

রণধীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকেও জানিয়েছেন, ভারত চায় বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক। আমরা গণতান্ত্রিক, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা বাংলাদেশ গঠনের পাশে আছি।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রণধীরের এই বক্তব্য প্রত্যাশিত ছিল। ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধের নোটিসেও ভারত এই কথাগুলোই লিখেছিল। শুধু তা-ই নয়, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে ঠিক এই কথাগুলোই লেখা হয়েছিল।

গণতান্ত্রিক, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত। ঈদের বার্তাতেও একই কথা বলা হয়েছিল। সম্প্রতি ব্যাংককে এক সম্মেলনে ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন মোদী। সেখানেও ভারতের তরফে এই কথাগুলোই বলা হয়েছিল।

বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে রণধীর বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার ওই বাক্যটি যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। তবে আমাদের ঘোষণার আগে বাংলাদেশের তরফে কী ঘটেছে, তার দিকেও নজর দিতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারতের এই ঘোষণার আগে বাংলাদেশ তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ করেছে। বন্ধ করা হয়েছে একটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম। ভারত থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তও আগেই নেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, চীনে গিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ড. ইউনূস। সেই মন্তব্য ভারত খুব ভালো চোখে দেখেনি।

আরবি/জেডি

Link copied!