ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১০২ জন। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে মার্কিন সেনাবাহিনী এই হামলা চালিয়ে বলে দেশটির হোদেইদাহ প্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। খবর ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর।
প্রতিবেদেনে বলা হয়, হামলার পর মার্কিন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযান চালানোর লক্ষ্য ছিল হুথি বিদ্রোহীদের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া। জ্বালানি বন্দরটি ইরান-সমর্থিত হুথিদের তহবিলের উৎস বন্ধ করা।
ওয়াশিংটনের দাবি, হুথি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যপথে হামলা চালিয়ে বিশ্ব সরবরাহ ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
ইয়েমেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-মাসিরাহ টেলিভিশন বলছে, এই হামলাটি ছিল সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রাণঘাতী অভিযান। এই হামলায় কমপক্ষে ৭৪ জন নিহত ও ১৭১ জন আহত হয়েছে বলে হোদেইদাহ প্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে।
হামলার পরের ঘটনার গ্রাফিক ফুটেজ প্রচার করেছে সংবাদমাধ্যমটি, যেখানে ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মরদেহ দেখা গেছে। এতে বলা হয়েছে, বন্দরের প্যারামেডিক ও বেসামরিক কর্মীরা হামলায় নিহত হয়েছেন। হামলায় একটি বিশাল বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন লেগে যায়।
গত ১৫ মার্চ থেকে প্রায় প্রতিদিনই হুথিদের উপর হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, লোহিত সাগর, আদেন উপসাগরে বেসামরিক জাহাজ ও সামরিক জাহাজের উপর তাদের আক্রমণ বন্ধ করার লক্ষ্যেই এই হামলা চালানো হচ্ছে।
২০২৩ সালের শেষের দিকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বিদ্রোহীরা মার্কিন জাহাজে আক্রমণ শুরু করে।
এদিকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধারা। আজ শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইয়েমেন থেকে আগত একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দখলকৃত ফিলিস্তিনে সাইরেন বেজে ওঠে।