আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে (স্থানীয় সময় ) এই কম্পন অনুভূত হয়। এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯২ কিলোমিটার (৫৭ মাইল) গভীরে। গভীরে উৎপত্তি হওয়ায় কম্পনটি অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, তবে এর তীব্রতা কিছুটা কম অনুভূত হয়।
পাকিস্তানে অনুভূত তীব্র কম্পন
ভূমিকম্পটি আফগানিস্তানের বাইরে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলেও অনুভূত হয়। এর মধ্যে ইসলামাবাদ, লাহোর, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার অনেক এলাকায় শক্তিশালী কম্পন হয়।
খাইবার পাখতুনখোয়ার লোয়ার দির, বাজাউর, মালাকান্দ, নওশেরা, দির বালা, শাবকাদার ও মোহমান্দ এলাকায় ভূমিকম্পের কম্পন সবচেয়ে তীব্র ছিল। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় ভূমিকম্প
আজকের ভূমিকম্পের মাত্র এক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তানের ইসলামাবাদসহ খাইবার পাখতুনখোয়া ও পাঞ্জাবের কিছু অংশে ৫.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এটি দেশটিতে দ্বিতীয় ভূমিকম্প, যা ভূ-প্রাকৃতিক ঝুঁকি নিয়ে নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল
পাকিস্তান এবং আশপাশের অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। ২০০৫ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্প এখনো সবার স্মৃতিতে অমলিন- যেখানে ৭৪ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।
যদিও এবারের ভূমিকম্পে বড় কোনো ক্ষতির খবর মেলেনি, তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন- ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এখনই জরুরি। ভূমিকম্প প্রতিরোধী অবকাঠামো, সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ এবং জরুরি সাড়াদান ব্যবস্থার উন্নয়ন এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আপনার মতামত লিখুন :