ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনায় এখনো অনড় দখলদার ইসরায়েল। মার্কিনি সমর্থন পেলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ‘সীমিত পরিসরে’ হামলা চালাতে চায় তেল আবিব।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) একজন ইসরায়েলি কর্তকর্তার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছেন, আমেরিকা আপাতত এ ধরনের পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না। তবু নিজেদের পরিকল্পনায় অনড় ইসরায়েলি নেতা।
পরমাণু ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা যখন ইতালির রাজধানী রোমে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসেছেন, ঠিক তখন এমন খবর সামনে এলো। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
নেতানিয়াহু বলছেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনার বদলে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে ফেলা উচিত।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে হামলা চালানোর ইসরায়েলি পরিকল্পনা ফাঁস করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। ফাঁস হওয়া এ তথ্য ও পরবর্তী প্রতিবেদনকে ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক ফাঁসগুলোর মধ্যে একটি বলে মন্তব্য করেছেন এক সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও অন্যদের বরাত দিয়ে গত বুধবার নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় দ্রুত হামলা চালাতে চান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এ হামলায় যুক্তরাষ্ট্রকেও পাশে চান তিনি।
প্রতিবেদন মতে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল এ অভিযানে অনুমতিই দেবে না, বরং এতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে। তবে ট্রাম্প আলোচনার মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে নতুন করে একটি চুক্তি চাইছেন। এ কারণে তিনি ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে যৌথ হামলার ইসরায়েলি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
পরে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের আংশিক সত্যতা নিশ্চিত করেন ট্রাম্প। আগামী মাসে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর ইসরায়েলি পরিকল্পনা ‘প্রত্যাখ্যান’ করেছেন বলে প্রতিবেদনে যে দাবি করা হয়েছে, সে সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ‘প্রত্যাখ্যান’ করার কথা বলিনি। তবে আমি এটা করার জন্য তাড়াহুড়ো করছি না।’
