ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা ‘গঠনমূলক’ হয়েছে। উভয় পক্ষের পরোক্ষ আলোচনায় আশার আলো দেখছে মধ্যস্থতাকারী ওমান। এজন্য উভয় পক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাস্কাটের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে বৈঠক শেষের কয়েক ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রোমে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শেষ হয়। এদিন ইরান ও মার্কিনের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘আলোচনাগুলো গঠনমূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলতে পারি এটি এগিয়ে চলেছে। আশা করি প্রযুক্তিগত আলোচনার পর আমরা আরও ভালো অবস্থানে থাকব। আগামী বুধবার বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে বৈঠক করবেন। এবং ওমানে ২৬ এপ্রিল (শনিবার) স্টিভ উইটকফের সঙ্গে হবে তৃতীয় দফায় আলোচনা।’
রোমে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির উপস্থিতিকে ‘উপযোগী’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। ইরনা’কে আরাঘচি বলেন, ‘কিন্তু এখনও আলোচনার মধ্যে আইএইএ নেই, কারণ আমরা এখনও সেই পর্যায়ে পৌছাইনি। সংস্থাটি একটি সম্ভাব্য চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল বুসাইদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতিতে আলোচনায় ‘অত্যন্ত গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য’ আরাঘচি ও উইটকফকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই আলোচনা গতি পাচ্ছে এবং এখন অসম্ভবও সম্ভব।’
গত ১২ এপ্রিল ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ওমানের রাজধানী মাস্কাটে প্রথম দফায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানেও আব্বাস আরাকচি ও স্টিভ উইটকফ ছিলেন শীর্ষ আলোচক।
আলোচনার লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলামিক বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি লিখে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌছাতে আলোচনা শুরুর অনুরোধ করেছিলেন।