আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থান। এ মসজিদকে ভেঙে সেখানে ইহুদি টেম্পল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েল। এ নিয়ে হিব্রু ভাষার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আলোচনা চালাচ্ছে তারা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) এর পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় আল-আকসা মসজিদ ভাঙার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
এদিকে, এ ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় এক্সে একটি পোস্ট করেছে জানিয়েছে, ‘আল-আকসা মসজিদ ভাঙার পরিকল্পনাকে আমরা দখলকৃত জেরুজালেমে ইসলামিক এবং খ্রিষ্টানদের পবিত্র স্থানে পদ্ধতিগত উসকানি হিসেবে বিবেচনা করি।’
ওই পোস্টে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া আরও বলা হয়, ‘আমরা আন্তর্জাতি সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে এই উসকানিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব নিয়ে দেখা এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
দীর্ঘদিন ধরে ইহুদিরা আল-আকসা প্রাঙ্গণে একটি টেম্পল বানাতে চায়, যেটাকে তারা ‘থার্ড টেম্পল’ অভিহিত করে। তাদের বিশ্বাস, ‘টেম্পল মাউন্টে’ তাদের পয়গম্বর আব্রাহাম (ইসলামের নবী ইব্রাহিম আ.) তার পুত্র ইসমাইলকে উৎসর্গ করার জন্য নিয়ে এসেছিলেন।
তাদের বিশ্বাস মতে, এখানেই ছিল ইহুদিদের ‘ফার্স্ট টেম্পল’, ‘সেকেন্ড টেম্পল’। তারা মনে করে, তিন হাজার বছর আগে রাজা সুলেমান (হজরত সুলাইমান আ.) এখানে ‘প্রথম টেম্পল’ নির্মাণ করেছিলেন। যেটি ধ্বংস করে দেয় ব্যাবিলনীয়রা।
১৯৬৭ সালে আল-আকসা নিজেদের দখলে নেয় ইসরায়েল। চুক্তি অনুযায়ী, সেখানে মুসলমানরা নামাজ আদায় করতে পারেন। আর ইহুদিরা প্রবেশ করতে পারেন, তবে প্রার্থনার অনুমতি নেই তাদের। এরপরও সেখানে অবস্থিত ‘টেম্পল মাউন্টে’ প্রার্থনা করে থাকেন ইহুদিরা।
আল-আকসা শুধু মুসলিমদের প্রার্থনার স্থান হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলি সেটেলার বা অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা প্রায়ই এখানে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ছে। নিষেধ থাকা সত্ত্বেও তারা সেখানে প্রার্থনা করছে। এতে তাদের সরাসরি সহায়তা করে দখলদার ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এসব সেটেলার বা অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তিগত ভূমিতে জোরপূর্বক বাস করে। তারা দখলদার ইসরায়েলি সরকার থেকে সব ধরনের সুরক্ষা পেয়ে থাকে। গত সপ্তাহেও আল-আকসা মসজিদে কয়েক ডজন ইসরায়েলি সেটেলার জোর করে ঢুকে ধর্মীয় আচার পালন করেছে।