ইরানি সেনাবাহিনীর স্থল বাহিনীর কমান্ডারদের অস্ত্রাগারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্বারা চালিত দেশীয় উন্নত, ‘অতি-গোপন’ অস্ত্রের সম্ভার রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিওমারস হেইদারি।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) প্রেসটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
জেনারেল কিওমারস হেইদারি বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র রয়েছে যা অত্যন্ত গোপনীয়। এসব অস্ত্র এখনো প্রচলিত অস্ত্র হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হলেও এগুলোর কার্যক্ষমতা অন্য অস্ত্রের চেয়ে শক্তিশালী।’
হেইদারি বলেন, ‘গোপনীয়তার কারণে এসব অস্ত্রের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি, তবে আমাদের অস্ত্রগুলো কার্যকরী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর থেকে আমাদের স্থল বাহিনীকে আধুনিকভাবে সক্ষম করে তোলা হচ্ছে। যা মোবাইল ও আক্রমণাত্মক শক্তিতে পরিণত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের বাহিনীগুলো গতিসম্পন্ন, দক্ষ ও তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে সক্ষম। স্থল বাহিনী এমন অস্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহার করছে যা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত সিস্টেমগুলোর মধ্যে পড়ে।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিওমারস হেইদারি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন সীমান্তে ১০টি সামরিক ডিভিশন মোতায়েন করা হয়েছে, যা ব্যাপক গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কভারেজ নিশ্চিত করছে। এই মোতায়েনের মানে এই নয় যে, সব হুমকি দূর হয়েছে; বরং এটি একটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চোখ খোলা এবং হাত ট্রিগারের ওপর রয়েছে। কোনো হুমকি বাস্তব হলে শত্রুকে পালানোর সুযোগ দেওয়া হবে না।’
সেনাবাহিনী ও ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (IRGC)-এর সমন্বয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইরানের সামরিক শক্তি বর্তমানে সমুদ্র, আকাশ ও স্থল সব ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রস্তুত।’
সম্প্রতি, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, ‘ইরান এখন পশ্চিম এশিয়ায় একটি অবিসংবাদিত সামরিক শক্তি।’
আপনার মতামত লিখুন :