ঢাকা সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

তুর্কির সব ড্রোনকে পেছনে ফেলে বায়রাক্টারের নতুন সংস্করণ

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
বায়রাক্টার টিবি-টু

প্রতিরক্ষা শিল্পে অনেক আগেই মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তুরস্কের বেসরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থা বায়কার ডিফেন্স। এবার বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনে এমটি১০০ ইঞ্চিন ব্যবহার করে দ্বিতীয়বার পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বায়কার। 

বিবৃতিতে বলা হয়, কোম্পানির নিজস্ব তৈরি টিএম১০০ ইঞ্জিন ব্যবহার করে বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন উড্ডয়ন করেছে। এই ইঞ্জিন ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একটি মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমানের (ইউসিএভি) দ্বিতীয় উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এমটি-১০০ ইঞ্চিনটিতে রয়েছে একটি ট্রিপল-রিডানড্যান্ট ডিজিটাল কন্ট্রোল সিস্টেম, মডুলার পাওয়ার প্যাক এবং অত্যাধুনিক তাপ নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম, যা ইঞ্জিনটিকে সবচেয়ে উন্নত পাওয়ারপ্ল্যান্ট হিসেবে অবস্থান দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ইঞ্জিনটির প্রথম ফ্লাইট ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে।

এক্স হ্যান্ডেলে বায়রাক্টার কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হালুক বায়রাক্টার লিখেছেন, বায়রাক্টার টিবি-টু বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মনুষ্যবিহীন যুদ্ধযান। সম্পূর্ণ দেশীয় ইঞ্জিনে তৈরি ড্রোনটির পরীক্ষামূলক দ্বিতীয় উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

বায়রাক্টার টিবি-টু নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কারটেক ডটকমের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি হচ্ছে এমন এক ধরনের যুদ্ধাস্ত্র যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি এবং হামলায় অংশ নিতে পারে। এই ড্রোনে একটি অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ক্যামেরা আছে। তার সাথে আছে ডাটা-লিংক সিস্টেম এবং দুই থেকে চারটি পর্যন্ত বিস্ফোরক- যা প্রিসিশন-গাইডেড অর্থাৎ উড়ে গিয়ে নির্ভুল নিশানায় আঘাত হানতে পারে।

রয়টার্সকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে হালুক বায়রাক্টার বলেছেন, তাদের কোম্পানি ১৪টি দেশে এ জাতীয় ড্রোন বিক্রি করেছে। সিরিয়া, লিবিয়া এবং নাগার্নো-কারাবাখের যুদ্ধক্ষেত্রে এসব ড্রোনের কার্যক্রম দেখে আফ্রিকা থেকে শুরু করে ইউরোপের অনেক দেশে ড্রোনের চাহিদা বাড়ছে। পোল্যান্ড এর মধ্যেই এ জাতীয় ড্রোন কেনার চুক্তি করেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধেও এই ড্রোনটি বিশেষ নজর কেড়েছে। আরও ১৬টি দেশ ড্রোন কেনার জন্য চুক্তি করেছে বলে কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এভিয়েশন গ্রুপে যুক্ত হয়েছে যেকোন দেশের জন্য আতঙ্ক বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন।