ঢাকা সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলে চলছে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে বিক্ষোভ করেন একদল ইসরায়েলি। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে গণস্বাক্ষর করেছে প্রায় দেড় লাখ ইসরায়েলি। তাদের দাবি, যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের ফেরত আনতে হবে। প্রচারণাটি ইসরায়েলে গতিশীল হচ্ছে বলে জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি ইসরায়েলি স্বাক্ষর করেছেন।

‘রিস্টোর্ড ইসরায়েল’ নামে সমন্বিত এ আন্দোলন সরকারের সামরিক কৌশল ও বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার প্রতি ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি করছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজারেরও বেশি নতুন স্বাক্ষরকারী এ প্রচারে যোগ দিয়েছেন। শনিবারের প্রথম দিকে মোট স্বাক্ষরের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩৪-এ পৌঁছেছে, যা শুক্রবারের ১ লাখ ২৮ হাজার ১১৪ থেকে বেড়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্ল্যাটফর্মটির মতে, শুক্রবার ৪৭টি স্বাক্ষরের আবেদনপত্রের সংখ্যা শনিবার পর্যন্ত ৫০টিতে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন বা সংরক্ষিত সদস্যদের দ্বারা চালু করা ২১টিও রয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সতর্কতা সত্ত্বেও বর্তমান ও সাবেক সামরিক কর্মীরা এ আন্দোলনে আরও বেশি করে যোগ দিচ্ছেন। এর আগে নেতানিয়াহু যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলা অথবা সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে প্রকাশ্যে আবেদন সমর্থনকারী সৈন্যদের বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছিলেন।

যদিও স্বাক্ষরকারীদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ১ লাখ ২৭ হাজার ২৫৫ জনের মধ্যে ১১ হাজার ১৭৯ জন সামরিক ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন। বেসামরিকদের মধ্যে ৭৩ হাজার ৫৯৯ জন ইসরায়েলি নাগরিক, দেড় হাজার বর্তমানে সামরিক বাহিনীতে থাকা সেনাদের মা-বাবা এবং ১ হাজার ৩০০ জন যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন।

এ ছাড়াও শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, ডাক্তার, শিল্পী, আইনজীবী ও প্রযুক্তিবিদসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন এ প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন।

শুক্রবার ইসরায়েল সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সরকারবিরোধী এ প্রচারে স্বাক্ষরকারী সামরিক ডাক্তারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আন্দোলনকারীরা বিদেশি অর্থায়নে এ কার্যক্রম চালাচ্ছে। আর এর লক্ষ্যই হলো নেতানিয়াহুর সরকারকে উৎখাত করা।

ইসায়েলিরা বিশ্বাস করে যে, গাজায় অবশিষ্ট ৫৯ জন জিম্মির মধ্যে এখনো ২৪ জন জীবিত রয়েছে। একই সময়ে ইসরায়েলি কারাগারে সাড়ে ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে।