চীনা বিজ্ঞানীরা সফলভাবে পারমাণবিক নয় বরং হাইড্রোজেনভিত্তিক একটি বিস্ফোরক যন্ত্রের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। এ বোমাটি প্রচণ্ড রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম।
রোববার (২০ এপ্রিল) দক্ষিণ চীন সকাল পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সাম্প্রতিক এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ২ কেজি ওজনের হাইড্রোজেনভিত্তিক ওই বিস্ফোরক যন্ত্র ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (প্রায় ১,৮৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেশি তাপমাত্রার আগুনের গোলা সৃষ্টি করে এবং তা দুই সেকেন্ডেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ী ছিল।
একই ওজনের প্রচলিত টিএনটি বিস্ফোরণের তুলনায় এর আগুনের স্থায়িত্ব ছিল ১৫ গুণ বেশি। উল্লেখযোগ্যভাবে, এতে কোনো ধরনের পারমাণবিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়নি।
বিস্ফোরক যন্ত্রটি নির্মাণ করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় জাহাজ নির্মাণ করপোরেশন, যা পানির নিচে ব্যবহৃত অস্ত্র উন্নয়নে বিশেষভাবে দক্ষ। এটি ম্যাগনেশিয়ামভিত্তিক কঠিন অবস্থায় হাইড্রোজেন সংরক্ষণের উপাদান ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটায়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রচলিত বিস্ফোরক দিয়ে প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণ ঘটালে ওই বিশেষ উপাদান দ্রুত তাপে ভেঙে পড়ে এবং প্রচুর হাইড্রোজেন গ্যাস নিঃসরণ করে, যা সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে ওঠে এবং একটি দীর্ঘস্থায়ী, উচ্চতাপমাত্রার আগুনের গোলা সৃষ্টি করে।
গবেষণা নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ‘হাইড্রোজেন গ্যাস খুব অল্প পরিমাণে প্রজ্বালন শক্তি পেলেই বিস্ফোরিত হতে পারে। এর বিস্ফোরণের সীমা অনেক বিস্তৃত, এবং এটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বড় এলাকাজুড়ে সমানভাবে ধ্বংস সাধন সম্ভব হয়।’
গবেষকরা জানিয়েছেন, সাদা আগুনের মতো উজ্জ্বল এই আগুনের গোলা অ্যালুমিনিয়াম ধাতব সংকরকেও গলিয়ে দিতে পারে, যার ফলে বিস্ফোরণের সময় দীর্ঘস্থায়ী তাপজনিত ক্ষয়ক্ষতি হয়। তুলনামূলকভাবে, টিএনটি বিস্ফোরণে আগুনের ঝলক সাধারণত মাত্র ০.১২ সেকেন্ড স্থায়ী হয়।