অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় একদিনেই প্রাণ হারালেন আরও ৩৩ নিরীহ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। গাজার তথাকথিত ‘নিরাপদ অঞ্চল’ আল-মাওয়াসিরেও চালানো হয়েছে বোমাবর্ষণ। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার ২০০ জনের গণ্ডি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকে থাকলেও উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন না।
গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে দিয়ে মার্চের মাঝামাঝি আবারও বোমা বর্ষণ শুরু করেছে ইসরায়েল। ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ হাজার ৮২৮ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের আক্রমণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত। ধ্বংস হয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ অবকাঠামো।
একই সময়ে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনীর চালানো ড্রোন হামলায় প্রাণ গেছে অন্তত ১২ জনের। রাজধানী সানার এক ব্যস্ত বাজারে চালানো এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন।
এ ছাড়া, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের একাধিক হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ২ জন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও ইসরায়েলকে গণহত্যার অভিযোগে দাঁড় করানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :