ঢাকা সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

বাংলাদেশের বাঁধ নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত, সীমান্তে প্রতিনিধিদল

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম
মুহুরী নদী সংলগ্ন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন বিশেষ প্রতিনিধিদল ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশের মুহুরী নদীতে বন্যা মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করছে বাংলাদেশ।

এতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সীমান্তের অপর প্রান্তের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার সরকার। ত্রিপুরা রাজ্য সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পাঠিয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি, দ্য হিন্দুসহ বেশকিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রোববার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বেলোনিয়া সীমান্ত শহর পরিদর্শন করেছে ভারতের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

মুহুরী নদীর ধারে বাংলাদেশের তৈরি করা একটি নতুন বাঁধ ভারতীয় অঞ্চলে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে—তা সরেজমিনে দেখতে ও মূল্যায়ন করতেই তারা সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বলেও এতে দাবি করা হয়েছে।

ত্রিপুরা রাজ্যের গণপূর্ত (পিডব্লিউডি) বিভাগের সচিব কিরণ গিট্টে এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন। বেলোনিয়া শহর ও আশপাশের সীমান্ত এলাকাগুলো ঘুরে দেখেন, স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বেলোনিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যানও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনের পর কিরণ গিট্টে জানান, দক্ষিণ ত্রিপুরার সদর বেলোনিয়া এবং আশপাশের গ্রামগুলোকে সুরক্ষা দিতে ভারত সরকার নিজেও বাঁধ নির্মাণ এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই মেরামত ও নির্মাণের সব কাজ শেষ হবে। কাজ চলবে ২৪ ঘণ্টা ধরে।’

এই প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে বলে জানান গিট্টে। সীমান্ত পরিদর্শনের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এনডিটিভি বলছে, দক্ষিণ ত্রিপুরায় বাংলাদেশের নির্মিত নতুন বৃহৎ বাঁধটি নিয়ে ভারতীয় সীমান্তবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তাদের আশঙ্কা, বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে এই বাঁধ ভারতের অভ্যন্তরীণ গ্রামগুলোতে জলাবদ্ধতা বা বন্যা সৃষ্টি করতে পারে।

নতুন বাঁধের কারণে বেলোনিয়া পৌর এলাকা, বল্লামুখ, ঈশান চন্দ্রনগরসহ দক্ষিণ ত্রিপুরার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা এই ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন।

উল্লেখ্য, এর আগেও উত্তর ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একইভাবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই বাঁধের কারণে বর্ষার সময় কৈলাশহর শহর ও আশপাশের গ্রামগুলোতে প্লাবনের আশঙ্কা বাড়ছে বলেও দাবি করা হয়েছে।