ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে নেমে এসেছে গভীর শোক।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে ভ্যাটিকানের নিজ বাসভবন কাসা সান্তা মার্টাতে ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই মানবিক নেতা। তিনি ১২ বছর ধরে পোপ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
২০১৩ সালের মার্চে ষোড়শ বেনেডিক্ট পদত্যাগ করার পর আর্জেন্টিনার কার্ডিনাল জর্জ মারিও বারগোলিও ইতিহাসে প্রথম লাতিন আমেরিকান হিসেবে পোপ নির্বাচিত হন, যিনি পরে পরিচিত হন পোপ ফ্রান্সিস নামে।
তার মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতৃবৃন্দ গভীর শোক জানিয়েছেন- তার সহানুভূতিশীল নেতৃত্ব, শান্তির বার্তা এবং দরিদ্র ও প্রান্তিকদের পক্ষে কণ্ঠস্বর হিসেবে তাঁকে স্মরণ করছেন সবাই।
বিশ্বনেতাদের শোকবার্তা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
‘পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন মানবিক মর্যাদার অগ্রদূত, যিনি ন্যায়ের পক্ষে আপসহীন ছিলেন।’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
‘পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন মানবতার সেবক, বিশেষ করে তিনি দুর্বল ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সর্বদা।’
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ
‘তিনি শুধু ক্যাথলিকদের নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন পুরো বিশ্বের মানুষের পোপ।’
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ
‘পোপের উদারতা ও প্রার্থনা বিশ্বের জন্য আশীর্বাদ। আমরা আশা করি, তার আকাঙ্ক্ষার মতোই গাজায় শান্তি আসবে এবং বন্দিরা মুক্ত হবে।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতি রবার্টা মেটসোলা
‘তিনি বিশ্বের লাখো মানুষের হৃদয় জয় করেছেন তার কোমলতা ও কণ্ঠস্বর দিয়ে।’
সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট কারিন কেলার-সাটার
‘তিনি ছিলেন এক মহান আধ্যাত্মিক নেতা, যিনি আজীবন শান্তির বার্তা প্রচার করেছেন।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
‘বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর শোক জানাচ্ছে ইরান। মুসলিম দেশ হিসেবে আমরা ভ্যাটিকানের সঙ্গে সবসময় সৌহার্দ্য বজায় রেখেছি।’
শেষ সময় ও শারীরিক অবস্থা
পোপ ফ্রান্সিস দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন। তরুণ বয়সেই তার একটি ফুসফুস আংশিক কেটে ফেলা হয়।
২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা কারণে তাকে ভর্তি করা হয় রোমের জেমেলি হাসপাতালে। পরবর্তীকালে তা ডাবল নিউমোনিয়ায় পরিণত হয় এবং তিনি সেখানে ৩৮ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :