ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

গেরিলা যুদ্ধের দিকে ঝুঁকছে হামাস

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের একদল যোদ্ধা। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। সিরিয়া সীমান্ত বন্ধ হওয়ায় আর্থিক ও সামরিক রসদের জোগানে ভাটা পড়েছে।

দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় এবার  ইসরায়েলে গেরিলা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর ছড়িয়েছে। হামাস গাজা উপত্যকায় অন্তত ৩০ হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগ করছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে সৌদি মালিকানাধীন আল-হাদাত নেটওয়ার্ক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

সৌদি সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জউদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড ৩০ হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগ করছে। এই পদক্ষেপ গেরিলা কৌশলের ওপর নির্ভরশীল একটি নতুন সামরিক কৌশলের অংশ। কারণ নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের বেশির ভাগেরই প্রচলিত যুদ্ধে প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। গ্রুপটি তাদের অস্ত্র ভান্ডার, বিশেষ করে ড্রোন ও দূরপাল্লার রকেটের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

চলতি বছরের ১৮ মার্চ ইসরায়েল চুক্তি লঙ্ঘন করে যুদ্ধবিরতি ভাঙার পর গাজা উপত্যকায় এই পরিবর্তন এসেছে। চলমান আগ্রাসনে প্রতিরোধ হিসেবে গেরিলা আক্রমণের দিকে হামাস ঝুঁকছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার দক্ষিণ গাজার রাফাহের উত্তর-পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরায়েলি কামানের গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা পরে গাজা শহরের পূর্বে তুফাহ পাড়ার পূর্ব অংশে হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির খবর জানিয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার বেইত হানুন ও দক্ষিণে খান ইউনিসে তীব্র ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইয়াহালোম গিভাতি ব্রিগেডের এলিট কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের সৈন্যরা রাফাহর শাবৌরা পাড়ায় কয়েক শ মিটার দীর্ঘ একটি বুবি-আটকা ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে।

আইডিএফ আরও জানিয়েছে, বিস্ফোরক ধারণকারী একটি সুড়ঙ্গের খাদ ধ্বংস ও অসংখ্য অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

নতুন নিয়োগ অভিযান সত্ত্বেও হামাস তীব্র আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হামাস যোদ্ধাদের বেতন দিতে অক্ষম।

আরব, ইসরায়েল ও পশ্চিমা সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক হামলার রসদ ও মানবিক সহায়তা বন্ধ, হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ- সহায়তা পাওয়ার সুযোগ ক্ষয়িষ্ণুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।