ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

চীন-ইরানের বহুমাত্রিক সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
চীন-ইরানের পতাকা ছবি: সংগৃহীত

চীন ও ইরানের কৌশলগত অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে চলেছে। ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির আসন্ন বেইজিং সফরের প্রাক্কালে চীন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই দেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিকভাবে গভীর হয়েছে এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করা হবে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়ান বলেন, ‘চীন ও ইরান নিয়মিতভাবে বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ ও মতবিনিময় চালিয়ে যাচ্ছে। চীন চায় এই সম্পর্ক আরও গভীর ও বিস্তৃত হোক।’

সফর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে গুও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।’

এর আগে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই জানিয়েছেন, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি মঙ্গলবার চীন সফরে যাচ্ছেন। সফরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি সংক্রান্ত চলমান পরোক্ষ আলোচনা ও সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে বেইজিংকে অবহিত করা। তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর সঙ্গেও ইরান নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখছে।

গত সপ্তাহে রাশিয়া সফরের সময় আরাঘচি বলেন, পরমাণু ইস্যুতে ইরান সবসময় তার মিত্র রাষ্ট্র রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, চীন ও ইরান ২৫ বছর মেয়াদি একটি কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তিতে আবদ্ধ, যার আওতায় দুই দেশ অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রসহ নানা খাতে যৌথ উদ্যোগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করছে। এই চুক্তি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিকে মজবুত করে তুলেছে এবং আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।

২০১৫ সালের চুক্তি: ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ ছিল একটি আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি, যাতে ইরান তার পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এর বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়।

চীন-ইরান ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তি: ২০২১ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির আওতায় চীন ইরানের অবকাঠামো, জ্বালানি এবং প্রযুক্তি খাতে বিপুল বিনিয়োগ করবে বলে জানানো হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রভাব হ্রাসে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত।